September 19, 2024
জাতীয়লেটেস্ট

২৮ অক্টোবর নেতাকর্মীদের বসে যাওয়ার নির্দেশ দিইনি: ফখরুল

আগামী ২৮ অক্টোবর ঢাকার মহাসমাবেশ সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ওইদিন নেতাকর্মীদের বসে যাওয়ার কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি। ফখরুল বলেন, ‘সারাদেশের নেতাকর্মীরা আমাদের মহাসমাবেশে অংশগ্রহণ করবেন। পুলিশ প্রশাসনের উদ্দেশে বলব- কোথাও কিন্তু আপনারা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবেন না। এটা কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায় হবে।’

রোববার (২২ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে নেতাকর্মীদের নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে তাদের উদ্দেশ্য বোঝা যায়। তারা বিনা কারণে আমাদের অফিসে আক্রমণ করেছে। আমরা আবারও বলছি, ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ হবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। এজন্য নিজস্ব নিরাপত্তাব্যবস্থা আমাদের থাকবে। আমরা কোনো নেতাকর্মীকে অবস্থান নেওয়ার নির্দেশ দিইনি।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এই সরকার দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। আমরা ভেবেছিলাম সরকার জনগণের দাবি মেনে নিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। কিন্তু তারা সেটা না করে জনগণের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে। একদিকে খাদ্যের চরম মূল্যস্ফীতি ও কাজের অভাব এবং কর্মসংস্থানের অভাব। দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি। তারা যতই ভয়ভীতি দেখাক পদত্যাগ না করলে পালানোর পথ পাবে না।’

ফখরুল বলেন, ‘সরকার কেবল ক্ষমতায় থাকার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করছে। এমনকি আদালতকেও ব্যবহার করছে। আমরা দেশের সকল রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করছি। আমাদের দাবি একটাই অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। কারণ এই সরকারের অধীনে কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এটা দেশে বিদেশে সবাই বলছেন। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা একই কথা বলছেন। এটাই আমাদের মূল দাবি।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতুল্লাহ বুলু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক মো. আবদুস সালাম সালাম, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, মাহবুবের রহমান শামীম, শামা ওবায়েদ, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, মো. শরীফুল আলম, হারুন অর রশিদ, মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খানম রিতা, এসএ কবির জিন্নাহ, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, সাধারণ সম্পাদক শাহ রিয়াজুল হান্নান, মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কামরুজ্জামান রতন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন, নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর সাখাওয়াত হোসেন, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহিন, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল, সহ-দফতর সম্পাদক মো. মুনির হোসেন, নির্বাহী কমিটির কমিটির সদস্য তারিকুল আলম তেনজিং, আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, অঙ্গসংগঠনের মধ্যে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মাহাতাব, সদস্য সচিব মো. আবদুর রহিম, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, জাসাসের সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।

যৌথসভায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব, যুগ্ম মহাসচিববৃন্দ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব, সকল বিভাগের সাংগঠনিক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকবৃন্দ, ঢাকা বিভাগের সকল মহানগর ও জেলাসমূহের সভাপতি/আহ্বায়ক/সাধারণ সম্পাদক/সদস্য সচিববৃন্দ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি/আহবায়ক/সাধারণ সম্পাদক/সদস্য সচিববৃন্দ, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন: