১৯ দিনেই মেট্রোরেলের আয় ২০ কোটি টাকা, আগে ৬ মাসে ১৮ কোটি!
দেশের প্রথম বিদ্যুৎচালিত দ্রুতগতির গণপরিবহন মেট্রোরেল প্রথম যাত্রী পরিবহন শুরু করে ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর। যাত্রী পরিবহন শুরুর পর থেকে প্রথম ৬ মাসের আয়ের সঙ্গে বর্তমান আয়ের ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। যেখানে ৬ মাসে আয় হতো ১৮ কোটি টাকা, সেখানে এখন ১৯ দিনেই আয় হচ্ছে ২০ কোটি টাকা।
শুরুতে মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন-৬ উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশ চালু করা হয়েছিল। পরে ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশও চালু করা হয়।
গত ৪ মার্চ জাতীয় সংসদের অধিবেশনে তৎকালীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে তৎকালীন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘অডিট ফার্মের নিরীক্ষা করা ২০২২-২৩ অর্থবছরের চূড়ান্ত হিসাব অনুযায়ী জুন মাস পর্যন্ত মোট আয় ১৮ কোটি ২৮ লাখ ৬ হাজার ৫১৪ টাকা।’ অর্থাৎ প্রথম ৬ মাসে শুধু যাত্রী পরিবহন করে এ টাকা আয় করে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ‘গত ১৯ দিনে যাত্রী পরিবহন হয়েছে ৪ কোটি ৪০ লাখ ৯ হাজার ৯ জন। আর যাত্রীদের টিকিট বাবদ আয় হয়েছে ২০ কোটি ৬৭ লাখ ৩ হাজার ৫৫১ টাকা।’ সেই হিসাবে দৈনিক গড়ে ২৩ লাখ ১৬ হাজার ২৬৪ জন যাতায়াত করেছেন। এতে দৈনিক আয় হয়েছে গড়ে ১ কোটি ৮ লাখ ৭৯ হাজার ১৩৪ টাকা।
বর্তমানে মেট্রোরেল সকাল ৭টা ১০ মিনিট থেকে রাত ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত নিয়মিত চলাচল করে। এর মধ্যে উত্তরা থেকে প্রথম ট্রেন ছাড়ে সকাল ৭টা ১০ মিনিট এবং শেষ ট্রেন ছাড়ে রাত ৯টায়। অন্যদিকে মতিঝিল থেকে প্রথম ট্রেন ছাড়ে সকাল সাড়ে ৭টায় এবং শেষ ট্রেন ছাড়ে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে।
এ ছাড়া সাপ্তাহিক বন্ধের দিন শুক্রবার উত্তরা থেকে প্রথম ট্রেন ছাড়ে দুপুর সাড়ে ৩টায় এবং শেষ ট্রেন ছাড়ে রাত ৯টায়। অন্যদিকে মতিঝিল থেকে প্রথম ট্রেন ছাড়ে দুপুর ৩টা ৫০ মিনিটে এবং শেষ ট্রেন ছাড়ে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে।
উল্লেখ্য, এমআরটি পাস ও র্যাপিড পাস ব্যবহারকারী ছাড়া সাধারণ সিঙ্গেল জার্নির যাত্রীরা সকাল ৭টা ২০ মিনিট থেকে রাত ৮টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত টিকিট ক্রয় করে মেট্রোরেলে ভ্রমণ করতে পারেন। এসময়ের আগে ও পরে সব স্টেশনের টিকিট বিক্রির অফিস ও টিকিট বিক্রির মেশিন বন্ধ থাকে।