September 20, 2024
জাতীয়লেটেস্ট

হাসি ফুটতে পারে আওয়ামী লীগের ‘বঞ্চিত’ হেভিওয়েটদের মুখে

একাদশ জাতীয় সংসদে বসা হয়নি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে এমন বেশ কয়েকজন নেতা রয়েছেন। তাদের মধ্যে এবার বেশ কয়েকজনের ভাগ্য খুলছে। মনোনয়ন দৌড়ে আগে থেকেই আলোচনায় ছিলেন তারা। নির্বাচনের আগ মুহূর্তে সেই আলোচনা আরও জোরালো হয়েছে।

আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে থাকা বেশ কয়েকজন নেতা এবার সংসদ সদস্য হতে পারেন।

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হবে আগামীকাল শুক্রবার থেকে। ৩০০ সংসদীয় আসনে ক্ষমতাসীনদের মনোনয়ন প্রত্যাশী অন্তত ৬ হাজার।

ইসির ঘোষণা অনুযায়ী ভোট অনুষ্ঠিত হবে ৭ জানুয়ারি। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তফসিল গতকাল বুধবার (১৫ নভেম্বর) ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির ঘোষণা অনুযায়ী ভোট অনুষ্ঠিত হবে ৭ জানুয়ারি।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর।

রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত।

অনলাইনের মাধ্যমে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে নিজের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে পারেন শেখ হাসিনা। পাশাপাশি তিনি ফরমের মূল্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারেন বলেও জানা গেছে। যা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আওয়ামী লীগের যে প্রত্যয়, তারই সূচনা।

এদিকে শুক্রবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর তেজগাঁও-এ অবস্থিত ঢাকা জেলা ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে গঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

জানা গেছে, এই বৈঠকের পর দলীয় সভাপতি অনলাইনের মাধ্যমে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে নিজের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে পারেন। পাশাপাশি তিনি ফরমের মূল্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারেন বলেও জানা গেছে। যা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আওয়ামী লীগের যে প্রত্যয়, তারই সূচনা।

শনিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করবেন।

এদিকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আকার ৮১ সদস্যের। এই তালিকার সামনের সারিতে থাকা নেতাদের একটি অংশকে ধরা হয় প্রভাবশালী নেতা হিসেবে। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের মধ্যে জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান দুইজনই দলের বেশ গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী নেতা।

তাদের মধ্যে জাহাঙ্গীর কবির নানক নবম ও দশম সংসদে এমপি ছিলেন। ঢাকা-১৩ আসনে পরপর দুইবার সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ছিলেন প্রতিমন্ত্রীও। এই নেতা এবার মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন বলে আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, গণভবনের ঠিক সামনে থাকা ঢাকা-১৩ আসনে পুনরায় নৌকার প্রার্থী হতে যাচ্ছেন নানক।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা কিংবা মনোনয়ন দৌড়ে থাকা নেতারা সরাসরি কথা বলতে রাজী নন। তাদের ভাষ্য, দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা তাদেরকে যেখানে, যে দায়িত্ব দেবেন তারা সে দায়িত্ব পালন করবেন। একই সঙ্গে দল থেকে যাকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে, তার জন্য কাজ করার প্রতিশ্রুতি জানিয়েছেন তারা।

জোর আলোচনা চলছে আবদুর রহমানকে ঘিরে। তার আসন ফরিদপুর-১। আসনটিতে হ্যাবিওয়েট প্রার্থীর সংখ্যা অন্তত ১০ জন। আলোচনা রয়েছে, বোয়ালমারী-আলফাডাঙার হাল ধরতে এবার বেছে নেওয়া হচ্ছে সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমানকে। যদিও এই আসনে আরও একাধিক নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী মাঠে কাজ করছেন।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চারজন। তাদের মধ্যে তিনজনই সংসদ সদস্য। আবার সেই তিনজনের দুইজন সরকারের মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

আলোচনা রয়েছে, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকদের সবাই সংসদ সদস্য হতে পারেন আগামী সংসদে। দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিমকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে। তবে রদবদল হতে পারে সংসদীয় আসনে।

দশম জাতীয় সংসদে মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন নাছিম। একাদশ সংসদে বসা হয়নি তার। তবে দলীয় সূত্র জানিয়েছে, সংসদের ২২০নং সিটের পরিবর্তে নাছিমকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে ঢাকা-১০ আসন থেকে।

সাংগঠনিক সম্পাদকদের মধ্যে সম্প্রতি পটুয়াখালী-১ আসন থেকে মনোনয়ন পেয়ে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য হয়েছেন আফজাল হোসেন। অবশ্য এবার তার আর সংসদ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তার ফের মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক দূর তিনি এগিয়ে গেছেন বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

এবার কপাল খুলতে যাচ্ছে দুই মেয়াদে শরিয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য থাকা বি এম মোজাম্মেল হকের। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন বঞ্চিত এই নেতার ‘প্রোফাইল’ বেশ ভারি। সাংগঠনিক ও সক্রিয়তা বিবেচনায় মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন মোজাম্মেক হকআরেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দির জন্য প্রথমবার সংসদের হাতছানি রয়েছে বলেও মনে করেন দলের নেতারা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত এই সাংগঠনিক সম্পাদক রংপুর থেকেই দলীয় মনোনয়ন পেতে পারেন।

আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলি। সংরক্ষিত আসনে সংসদে বসেছেন আওয়ামী লীগের এই নেত্রী। তবে এবার সাধারণ আসনে মনোনয়ন পেতে পারেন বলে আলোচনা রয়েছে। দলীয় সূত্র জানিয়েছে, ফরিদুন্নাহার লাইলি লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) থেকে সাধারণ আসন থেকে মনোনয়ন পেতে পারেন বলে আলোচনা রয়েছে।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা কিংবা মনোনয়ন দৌড়ে থাকা নেতারা সরাসরি কথা বলতে রাজী নন।

তাদের ভাষ্য, দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা তাদেরকে যেখানে, যে দায়িত্ব দেবেন তারা সে দায়িত্ব পালন করবেন। একই সঙ্গে দল থেকে যাকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে, তার জন্য কাজ করার প্রতিশ্রুতি জানিয়েছেন তারা।

শেয়ার করুন: