হাসপাতালে ফিলিস্তিনি নারীদের যৌন হেনস্থা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী
গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালে হামলার সময় ফিলিস্তিনি নারীদের যৌন নিপীড়ন ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে বর্বর দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী।
একইসঙ্গে নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে এই দখলদার বাহিনী। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের বর্বর সেনাসদস্যরা ফিলিস্তিনি নারীদের বিবস্ত্র করে অস্ত্রের মুখে যৌন নির্যাতন চালিয়েছে। এসময় তাদের মারধরও করেছে।
শনিবার নির্যাতনের শিকার হওয়া নারীদের সাক্ষ্য সংগ্রহ করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইউরো-মেড হিউম্যান রাইটস মনিটর।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল বাহিনীর অভিযানের সময় আটক অসংখ্য নারী ও মেয়ে যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন। হিজাব খুলতে অস্বীকার করায় এক নারীর কাপড় ছিঁড়ে তার বুক উন্মুক্ত করে দিয়েছিল এক বর্বর সৈনিক।
আরেক ভুক্তভোগী জানিয়েছেন, তাকে এক সৈনিক টেনে ধরে নিয়ে গিয়েছিল। অপ্রীতিকর ঘটনার কথা স্মরণ করে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক নারী বলেন, এক সৈনিক এক নার্সকে তার ট্রাউজার খুলে ফেলতে বাধ্য করেছিল। তারপর তার গায়ে হাত দিয়েছিল। ওই নার্স যখন প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলে তার মুখের উপর জোরে আঘাত করে বর্বর ওই সেনা।
অন্য একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, এক নারী ইসরায়েলি লম্পট সেনা হুমকি দিয়ে তার কাপড় খুলতে বাধ্য করে।
হাসপাতালের একজন স্টাফ সদস্য মনিটরকে বলেছেন, সেনারা আমাদের হিজাব খুলে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল, কিন্তু আমরা তা প্রত্যাখ্যান করি। তারপরে তারা ২০ বছরের কম বয়সী মেয়েদেরকে তাদের হিজাব খোলার নির্দেশ দিলেও তারা তা অস্বীকার করেছিল।
এ সময় ইসরায়েলিরা আমাদের শাস্তি দিতে নারীদের জামাকাপড় খোলতে বাধ্য করে এবং তাদের যৌন হয়রানি করে।