হামলার হুমকির পর এবার বর্জনের ডাক বাংলাদেশ-ভারত সিরিজ
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে, এমন বিভ্রান্তি অভিযোগ করে ভারতীয় কিছু গণমাধ্যম। যদিও পরে সেগুলো ভুয়া প্রমাণিত হয়।
তবে এরপরও বিষয়টি নিয়ে কঠোর অবস্থান নিয়ে থাকে ভারতের বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন। যার ফলে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ভারত সফরে যাওয়ার আগে হামলার হুমকি দেন অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা। এবার এই সিরিজ বর্জনের ডাক দিলেন ভারতীয় কিছু সংগঠন।
ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজ ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে ইতিমধ্যে দেশটিত অবস্থান করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। যেখানে আগামীকাল চেন্নাইয়ে শুরু হতে যাচ্ছে সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচ। এই ম্যাচসহ পুরো সিরিজই বয়কটের ডাক দিয়েছে ভারতীয় কিছু সংগঠন।
এর আগে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হামলার হুমকি দিয়েছিল ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা। এবার সিরিজ বয়কটের ডাক দিলেন ভারতের গোয়াভিত্তিক সংগঠন হিন্দু জনজাগ্রুতি সমিতিসহ একাধিক সংগঠন।
হিন্দু জনজাগ্রুতি সমিতি তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছে, ‘হিন্দু জনজাগ্রুতি সমিতি কঠোরভাবে জানাচ্ছে যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার ম্যাচ আয়োজন বাংলাদেশের আহত হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রতি অসম্মান দেখানোর শামিল। তাদের ওপর অনবরত নৃশংস হামলা চালানো হচ্ছে।’
‘সমিতির পক্ষ থেকে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) প্রতি ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ বাতিলের অনুরোধ করছি। এমনকি হিন্দুদের ওপর হামলা বন্ধ না করা পর্যন্ত বাংলাদেশি শিল্পীদের কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও যেন না ডাকা হয়।’
এছাড়াও দিল্লিতে বাংলাদেশ-ভারত সিরিজের কোনো ম্যাচ অনুষ্ঠিত হতে দিবে না বলে এক্সে মন্তব্য করেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নেতা নরসিংহান্দ সারাসওয়াতি। তিনি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে এ ব্যাপারে হুশিয়ারি দেন।
দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটি চেন্নাইয়ের এম এ চিদাম্বারম স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল ১৯ সেপ্টেম্বরে। দ্বিতীয় ম্যাচটি মাঠে গড়াবে ২৬ সেপ্টেম্বরে কানপুরে। ২টি টেস্ট ম্যাচই আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ। টেস্ট সিরিজ শেষে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে অংশ নেবে বাংলাদেশ দল।