স্পেনের প্রথম ‘রোজাদার’ খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামছেন ইয়ামাল
মাত্র ১৭ বছর বয়সেই স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনার অন্যতম প্রধান তারকায় পরিণত হয়েছেন লামিনে ইয়ামাল। যাদের হয়ে তিনি সপ্তাহখানেক আগে রোজা রেখেই উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন। তার সেই রাতটাও কেটেছিল দারুণ, বেনফিকার বিপক্ষে ইয়ামাল করেছিলেন ১টি করে গোল ও অ্যাসিস্ট। ম্যাচের মাঝেই স্বল্প সময়ের বিরতিতে সেরেছিলেন ইফতার। এবার প্রথম কোনো ‘রোজাদার’ খেলোয়াড় হিসেবে তিনি স্পেন জাতীয় দলের হয়ে খেলতে নামবেন।
ইতালির দলবদল বিষয়ক প্রখ্যাত সাংবাদিক ফ্যাব্রিজিও রোমানো লিখেছেন, ‘লামিনে ইয়ামাল স্পেন জাতীয় দলের ইতিহাসে প্রথম কোনো ফুটবলার হিসেবে রামাদানের রোজা রেখে খেলবেন। মুসলিম ঐতিহ্য ও পরিবারের প্রতি সম্মান রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লামিনে।’
ইউরোপিয় প্রতিযোগিতা নেশন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে আগামী ২১ ও ২৪ মার্চ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে যথাক্রমে হোম ও অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবে স্পেন। যেখানে স্প্যানিশ দলটির অপরিহার্য সদস্য হিসেবে আছেন লামিনে ইয়ামাল। রোজা রেখে কোনো স্প্যানিশ খেলোয়াড়ের ম্যাচ খেলতে নামার বিষয়টিকে ‘মাইলফলক’ বলে উল্লেখ করছে দেশটির সংবাদমাধ্যম। এমনকি দলের অনুশীলন সেশনেও নাকি লামিনে ইয়ামালকে রোজার বিধান পালন করতে দেখা গেছে।
স্পেনে মুসলিম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা প্রায় ২৫ লাখ। রমজানে অন্যান্য দেশের ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের মতোই তারাও পবিত্রতা ও শৃঙ্খলার সঙ্গে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সব ধরনের পানাহার থেকে বিরত থাকেন। মুসলমানদের এই মহিমান্বিত মাসের শুরুতেই স্পেনসহ প্রায় প্রতিটি ইউরোপিয় দেশের বড় বড় ক্লাব স্বাগত জানিয়েছিল। লামিনে ইয়ামালের মতো ফুটবলারদের জন্য খেলার মাঝে রাখা হয় ইফতারের জন্য ছোট বিরতি। যদিও এখনও নেশন্স লিগের ম্যাচে বিরতি থাকবে কি না আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।
২০২৪ সালেও অবশ্য রমজানের সময় আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা ছিল ইয়ামালের। সেই সময় ১৬ বছর বয়সী এই তারকা উইঙ্গার রোজা রেখে খেলেননি। আবার লামিনের আগেও অবশ্য স্প্যানিশ দলের হয়ে খেলোয়াড়দের রোজা রেখে ম্যাচ খেলার নজির ছিল। তবে এবারই প্রথম জাতীয় দলের কেউ ধর্মীয় এই বিধি মেনেই মাঠে নামতে যাচ্ছে।