October 12, 2025
জাতীয়লেটেস্টশীর্ষ সংবাদ

স্কুলের খাবারে ডিম শিক্ষার্থীদের পুষ্টি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ হবে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

স্কুল ফিডিং প্রোগ্রামে ডিম যুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেছেন, আমাদের স্কুল ফিডিংয়ে দুধ দেওয়া হচ্ছে সেখানে ডিমও যুক্ত করতে হবে। কেননা অনেক দারিদ্র্য ছেলে-মেয়ে পুষ্টির যোগান পায় না। সেক্ষেত্রে স্কুলের খাবার তালিকায় ডিম অন্তর্ভুক্ত করা হলে শিক্ষার্থীদের অপুষ্টি দূরীকরণে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন বাংলাদেশে (কেআইবি) প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল ও ওয়ার্ল্ড পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ শাখা আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ডিম এমন এক খাবার যা দেশের প্রায় সব শ্রেণির মানুষ কোনো না কোনোভাবে এর সঙ্গে জড়িত। এর উৎপাদন থেকে শুরু করে ভোগ পর্যন্ত প্রত্যেক স্তরে মানুষের অংশগ্রহণ রয়েছে। গরুর মাংস সবাই ক্রয় করতে না পারলেও ডিম এমন একটি সাশ্রয়ী খাদ্য যা সবার নাগালে। তিনি আরও বলেন, শিশুর পুষ্টি নিশ্চিত করতে ছয় বছর বয়সের মধ্যেই প্রয়োজনীয় পুষ্টির যোগান দেওয়া জরুরি। তাই স্কুল ফিডিং প্রোগ্রামে ডিম যুক্ত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের ৮০ শতাংশ ডিম প্রান্তিক খামারিদের কাছ থেকে আসে। গ্রামীণ দরিদ্র নারীরাও দু-একটি করে মুরগি পালন করে নিজেদের পরিবারের পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে পুষ্টি সরবরাহে অবদান রাখছেন। ফরিদা আখতার বলেন, কৃষিতে কীটনাশক ব্যবহারে মুরগি পালন হুমকির মুখে পড়েছে। তাছাড়া হাওড়ের হাঁসের ডিমের কথা প্রচার করা হচ্ছে না। হাওড়ের হাঁসের ডিমের বিষয়ে প্রচার বাড়াতে হবে। আমাদের কমপ্লিট ফুড সম্পর্কে আলোচনা করতে হবে। সেখানে সবজি, মাছ ও মাংসের কথাও বলতে হবে। ক্যান্সার অনেক বেড়ে গেছে। প্রায় ঘরে ঘরে নারীরা ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। ‘ডিম খেলে ক্যান্সার কমে’ এই বার্তাটি ব্যাপকভাবে প্রচার করতে হবে। উপদেষ্টা বলেন, মৌসুমভেদে ডিমের দর ওঠা-নামা করে। অনেক সময় অনিয়ম ও অপ্রয়োজনে মধ্যস্বত্বভোগীদের হাত বদলের কারণে দাম বৃদ্ধি পায়। এ প্রেক্ষাপটে ডিমের বাজারকে গুরুত্ব দিয়ে নিয়মিতভাবে রিপোর্ট এবং বাজার পর্যবেক্ষণ জোরদার করতে হবে। ডিমের মূল্য বাড়ানোর সঙ্গে জড়িত অনিয়ম ও অসাধু কাজের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক এবং ওয়াপসা বিবির সাবেক সভাপতি মসিউর রহমান, প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইলিয়াস হোসেন ও অধ্যাপক ড. মাহমুদুল হাসান সিকদার।
শেয়ার করুন: