সৌদির কাছে সামরিক সহায়তা চাইল ইয়েমেন সরকার
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইয়েমেনের সরকার সৌদির নেতৃত্বাধীন জোটের কাছে সামরিক সহায়তা চেয়েছে। তারা বলেছে, সাধারণ মানুষকে রক্ষা ও শান্তি আনতে এ সহায়তা প্রয়োজন।
প্রেসিডেন্ট রাশেদ আল-আলিমি গতকাল শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) প্রকাশ্যে এ সহায়তা চেয়েছেন। ২০১৫ সালে রাজধানী সানাসহ ইয়েমেনের অর্ধেক অংশ দখল করে ফেলে ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা। বাকি অংশে ছিল ইয়েমেনি প্রেসিডেন্সিয়াল লিডারশিপ কাউন্সিলের (পিএলসি) শাসন। তাদেরকেই আন্তর্জাতিকভাবে ইয়েমেনের সরকার হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
কিন্তু ডিসেম্বরের শুরুতে এই অংশের বেশিরভাগ অঞ্চল নিজেদের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী সাউদার্ন ট্রানজিশনাল কাউন্সিল (এসটিসি)।
এই গোষ্ঠীকে সৌদি আরব সরে যেতে বলেছে। কিন্তু তারা উল্টো নিজেদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করছে। এমন পরিস্থিতিতে গতকাল ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় প্রদেশ হারদামাউতে বিমান হামলা চালিয়েছে সৌদি। এই গোষ্ঠীর দখলে রয়েছে আল-মাহরা নামে আরেকটি প্রদেশের দখল।
তারা সৌদি আরবের অনুমতি ছাড়াই দুটি প্রদেশ দখল করায় এ নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। সৌদি বলেছে, যদি এসটিসি এখানে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ অব্যাহত রাখে তাহলে সেখানে বিভক্তি দেখা দেবে। আর এটির সুযোগ নিয়ে হুতি বিদ্রোহীরা এসব অঞ্চলও দখল করে ফেলতে পারে।
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের প্রেসিডেন্ট হারদামাউত এবং আল-মাহরার নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দিতে এসটিসিকে আহ্বান জানিয়েছেন।
এসটিসি একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী। তারা ইয়েমেনকে দুইভাগে বিভক্ত করতে চায়। ১৯৯০ সালের আগে বর্তমান ইয়েমেন দুটি আলাদা দেশ ছিল। এসটিসির দাবি ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলকে নিয়ে এখন সেখানে আবারও আলাদা দেশ গঠন করতে হবে।

