সেনা-বিজিবির উপস্থিতিতে ১০ ঘণ্টা পর ঢামেকে জরুরি সেবা চালু
প্রায় দশ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) উপস্থিতিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জরুরি বিভাগের সেবা চালু হয়েছে।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিট থেকে হাসপাতালটির জরুরি সেবা চালু হয়।
এই তথ্য নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতাল পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা হাসপাতালের জরুরি স্বাস্থ্যসেবা চালু করেছি। চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় পর্যাপ্তসংখ্যক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। জরুরি বিভাগ ছাড়াও আইসিইউ, এইচডিইউ ও সিসিইউসহ সকল জরুরি স্বাস্থ্যসেবা চালু করেছি। আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে এটি করা হয়েছে।
এর আগে সকাল সাড়ে নয়টা থেকে হাসপাতালটিতে সকল স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ করে দেন চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীরা। চার দফা দাবিতে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা। এরপর বেলা ৩টা থেকে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা, ঢামেক হাসপাতাল পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে দুই ঘণ্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা।
এর পরিপ্রেক্ষিতে চিকিৎসকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিতের কথা জানান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম ও ঢামেক পরিচালক। তবে তা ঠিক নয় দাবি করে শর্তসাপেক্ষে ২৪ ঘণ্টার জন্য কর্মসূচি স্থগিতের কথা জানান আন্দোলনকারীরা। প্রতি চিকিৎসকের বিপরীতে একজন নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্য নিয়োগ শর্তে শুধু যেসব হাসপাতালে এটি নিশ্চিত করা হবে সেখানে সেবা দেওয়ার কথা জানান তারা।
গতকাল শনিবার (৩১ আগস্ট) মধ্যরাতে নিউরো সার্জারি বিভাগের তিন চিকিৎসককে মারধরের ঘটনা ঘটে। খিলগাঁও সিপাহীবাগ এলাকা থেকে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহতরা ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে আসেন। পরে অন্য আরেক গ্রুপ চাপাতিসহ হাসপাতালে জরুরি বিভাগের ভেতরে ঢুকে যায়। এ সময় হাতেনাতে চারজনকে আটক করে সেনাবাহিনীর কাছে তুলে দেয় কর্তৃপক্ষ। পরে অন্য আরেক রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সেন্টারে ভাঙচুর চালায় রোগীর স্বজনরা।
নিরাপত্তা শঙ্কায় জরুরি বিভাগের কার্যক্রম বন্ধ করে দেন চিকিৎসকরা। দোষীদের শনাক্ত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের বিচারের দাবি জানান তারা। অন্যথায় কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দেন। পরে আলটিমেটামের ২৪ ঘণ্টা শেষ হওয়ার আগেই কর্মবিরতিতে যান তারা।