সেদ্ধ ডিম ফ্রিজে সংরক্ষণ করে খাওয়ার উপায়
ডিম খেতে কে না পছন্দ করে। কিন্তু অনেকেই রয়েছেন যারা প্রতিনিয়ত ডিম খেতে ভয় পান। ডিম খেলে কোনো ভয় নেই। ডিম স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী ও পুষ্টিকর একটি খাদ্য। একাধিক গবেষণা কেন্দ্র থেকে জানিয়েছে অপুষ্টি এবং রক্তস্বল্পতা জনিত সমস্যা থেকে নিরাময় দিতে সক্ষম ডিম।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, অপুষ্টি ও রক্তস্বল্পতার মতো সমস্যা, মহিলা ও শিশুদের বেশি হয়ে থাকে। যে কারণে ডিম মহিলা ও শিশুদের বেশি খাওয়া উচিত। ডিম খেতে কমবেশি সবাই পছন্দ করেন। সকালের নাস্তায় ডিমের অমলেট, কিংবা সেদ্ধ একেক জনের পছন্দ একেক পদ।
এছাড়াও ডিমের নানান ধরনের রেসিপি করে খাওয়া হয়। ডিম পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি প্রাকৃতিক খাদ্য। একে প্রোটিন ও পুষ্টির পাওয়ার হাউসও বলা হয়ে থাকে। শিশু থেকে বৃদ্ধ, সব বয়সের জন্য ডিম স্বাস্থ্যকর ও অত্যন্ত উপকারী। বিশেষজ্ঞরা বলেন, যদি সুস্থ থাকতে চান, প্রতিদিন একটি করে ডিম খান।
পুষ্টিবিদদের মতে, একটি বড় ডিমের ওজন প্রায় ৫০ গ্রাম হয়ে থাকে । একটি সেদ্ধ ডিম থেকে সাধারণত ৭৭ ক্যালরি পাওয়া যায়। ৬.৩ গ্রাম উচ্চমানের প্রোটিন পাওয়া যায়। ডিম দীর্ঘ সময় শক্তি জোগায় ও খিদে কমায়। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য ডায়েটে ডিম রাখা জরুরি।
আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের তথ্যানুসারে, দ্রুত নষ্ট হয়ে যেতে পারে এমন খাবারের মধ্যে ডিম সেদ্ধ করার পর সাধারণত ২ ঘণ্টার মধ্যে খেয়ে ফেলা উচিত। কারণ ডিম খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়।
অনেকেই সেদ্ধ ডিম অনেকক্ষণ পর্যন্ত রেখে দেন। এমনকি দোকানে কতক্ষণ আগের সেদ্ধ করা ডিম দেওয়া হচ্ছে, সেটাও বোঝা যায় না। তবে সেদ্ধ করা ডিম ডিপ ফ্রিজে রেখে সংরক্ষণ করা যাবে। কিন্তু খোসা ছাড়ানো সেদ্ধ ডিম ফ্রিজে রাখা যাবে না। সেদ্ধ ডিম ফ্রিজে রাখার ক্ষেত্রে এয়ার টাইট (বায়ুরোধী) পাত্র ব্যবহার করতে পারেন। অনেক সময় সেদ্ধ ডিম ফ্রিজে রাখলে দুর্গন্ধ হতে পারে।
পুষ্টিবিষয়ক ওয়েবসাইট ইনক্রিডিবল এগের তথ্যানুসারে, সিদ্ধ ডিম ফ্রিজে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হলে সপ্তাহখানেক ভালো থাকে। তবে খোসা ছাড়ানো সেদ্ধ ডিম অবশ্যই টাটকা খেতে হবে। অর্থাৎ যেদিন সেদ্ধ করা হবে সেদিনই খেতে হবে। সেদ্ধ করা ডিম ফ্রিজে রাখলে হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস উৎপন্ন হয়। তবে এটি ক্ষতিকর নয়। ফ্রিজে সেদ্ধ ডিম রাখলে শক্ত হয়ে যেতে পারে। স্বাদেও কিছুটা পরিবর্তন ঘটতে পারে। এক্ষেত্রে সেদ্ধ ডিম সরাসরি না খেয়ে এর বিভিন্ন রেসিপি করে খেতে পারেন। যেমন ডিম ভুনা বা ডিমের কোরমা।
দক্ষিণাঞ্চল অনলাইন ডেস্ক