সুবিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছে মঠবাড়িয়ার মরহুম আরশেদ আলী হাওলাদারের উত্তরাধিকারীগণ!
দ. প্রতিবেদক
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার মঠবাড়িয়া পৌরসভার মরহুম আরশেদ আলী হাওলাদারের ওয়ারেশগণকে তাদের জমি, মার্কেট ও হাওলাদার রেস্ট হাউজ থেকে উচ্ছেদ করার এক চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। অভিযোগ রয়েছে, মরহুম আরশেদ আলী হাওলাদারের বড় ছেলে অসুস্থ হাবিবুর রহমানের স্ত্রী মোছাঃ সামসুর রহমান (ঝর্ণা বেগম) তার ভাতিজা পৌরসভার পৌর প্রশাসক মোঃ আরিফুল হক আরিফকে দিয়ে এ উচ্ছেদ করেন। বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন মরহুম আরশেদ আলী হাওলাদারের ভুক্তভোগী উত্তরাধীকারীগণ। ঐ পরিবারেরই উত্তরাধিকারী অসুস্থ হাবিবুর রহমান হীরুর (৭৫) এর অসুস্থতার কারণে তার স্ত্রী শামসুর নাহার ঝর্ণা তার ভাইপো পৌর প্রশাসক ও আওয়ামী লীগ নেতা আরিফুল হককে নিয়ে বেপরোয়া হয়ে ওঠে এবং গত ২৬/১০/২০২৩ইং তারিখে তাদের বসতবাড়ি, ব্যবসায়ী হোটেল থেকে উচ্ছেদ করে তাতে তালা ঝুলিয়ে দেন।
এর প্রতিবাদ করলে মরহুম আরশাদ আলী হাওলাদারের সন্তান যথাক্রমে মোঃ সাইদুর রহমান, মোঃ লুৎফর রহমান ও মজিবর রহমানকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং অবিলম্বে মঠবাড়িয়া ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন পৌর প্রশাসক মোঃ আরিফুল হক আরিফ, তিনি এ বলে শাসান “এ নিয়ে যদি বেশি বাড়াবাড়ি করিস বা কোন আইনগত সাহায্য নেওয়ার চেষ্টা করিস তাহলে তোদেরকে চিরতরে শেষ করে দেব।” ভুক্তভোগী পরিবারটি এখন সুবিচারের জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন মহলে সুবিচার প্রার্থনা করছে।
উল্লেখ্য, উক্ত মরহুম আরশেদ আলী হাওলাদারের বড় ছেলে হাবিবুর রহমান দীর্ঘ ২৫ বছর প্যারালাইজড অবস্থায় অসুস্থ আছেন। তিনি বিছানায় শয্যাশায়ী। তাকে তার স্ত্রী মোছাঃ শামসুর রহমান (ঝর্ণা বেগম) ভুল বুঝিয়ে এবং ভাইদের বিরুদ্ধে কুপরামর্শ দিয়ে এবং তার ভাইপো পৌর প্রশাসক আরিফুল হককে সাথে নিয়ে তিনি গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত এবং ওয়ারেশ অন্যান্য ভাইবোনদের বঞ্চিত করে জমি-জমা, বসত-বাড়ি ও ফার্মেসি রোডে অবস্থিত হাওলাদার রেস্ট হাউজ থেকে তাদেরকে উচ্ছেদ করে তাতে তালা লাগিয়ে দিয়েছে এবং পুনরায় তারা যদি মঠবাড়িয়ায় তাদের বসত-বাড়ি, জমি-জমা বা রেস্ট হাউজে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে তাহলে তাদেরকে দেখে নেওয়ার এবং মিথ্যা মামলায় জেলে ভরে দেওয়ার হুমকি দেয়া হয়। মরহুম আরশেদ আলী হাওলাদারের ওয়ারেশগণ তাদের পরিবার নিয়ে বর্তমানে মানবেতর জীবন-যাপন করছে এবং ন্যায় বিচারের আশায় বিভিন্ন মহলে ধর্ণা দিচ্ছেন এবং সুবিচার পাওয়ার জন্য প্রশাসনের সর্বস্তরসহ সুশীল সমাজের কাছে বিচার প্রার্থনা করছে।
এ ব্যাপারে পৌর প্রশাসক আরিফুল হক আরিফের সাথে তার ০১৭১২-৬৪৯৮৪৭ নাম্বার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সব কিছু অস্বীকার করেন এবং তার এর সাথে কোন সম্পৃক্ততা নাই বলে এ প্রতিবেদকের কাছে দাবি করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ দেওয়া হয়েছে কিনা এখনও জানা যায়নি।