December 22, 2024
আন্তর্জাতিক

সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের দখলে দারা ও সোয়েদা শহর, চাপে আসাদ সরকার

সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় দারা এবং সোয়েদা শহরের বেশিরভাগ এলাকা দখলে নিয়েছে সশস্ত্র বিদ্রোহীরা। এরই মধ্যে সেসব এলাকা থেকে সরে গেছে সিরীয় সেনাবাহিনী। দারা শহরটির পতন প্রেসিডেন্ট বাসার আল-আসাদের বাহিনীর জন্য গত এক সপ্তাহে চতুর্থ কৌশলগত ক্ষতি বলে মনে করা হচ্ছে।

২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের শুরুর দিকে দারায় একটি স্কুলের দেওয়ালে সরকারবিরোধী গ্রাফিতি লেখার জন্য কিছু ছেলেকে আটক ও নির্যাতন করা হয়। ওই বছরের এপ্রিল মাসে সরকার শহরটিকে অবরুদ্ধ করে, যা বিপ্লবকে সামরিক রূপ দেওয়ার একটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হয়।

শুক্রবার সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, স্থানীয় বিদ্রোহীরা দারা প্রদেশের ৯০ শতাংশেরও বেশি এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে, যার মধ্যে শহরটিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

পাশের সোয়েদা শহর থেকে সিরীয় সেনাবাহিনী পিছু হটেছে এবং স্থানীয় যোদ্ধারা বেশ কিছু চেকপয়েন্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। সোয়েদা সিরিয়ার দ্রুজ সংখ্যালঘুদের হৃদপিণ্ড এবং গত এক বছর ধরে এর বাসিন্দারা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে।

অবজারভেটরি জানিয়েছে, শনিবার সিরীয় সেনাবাহিনী কুনেইত্রা থেকেও পিছু হটেছে, যা ইসরায়েল দখলকৃত গোলান উচ্চভূমির সীমানায় অবস্থিত।

দারা এবং সোয়েদা পতন হলেও সিরিয়ার সরকারি বাহিনী এখনো দামেস্ক, হোমস, লাতাকিয়া এবং তার্তুসের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দারা এবং সোয়েদাতে আমাদের বাহিনী নতুন করে মোতায়েন হচ্ছে এবং নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে। ‘সন্ত্রাসীরা’ দূরবর্তী সামরিক চেকপয়েন্টে আক্রমণ চালাচ্ছে।

সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা একটি ‘রক্ষাকালীন এবং নিরাপত্তা বেল্ট’ প্রতিষ্ঠা করছে। এটি স্পষ্টতই দামেস্ককে বিদ্রোহীদের হাত থেকে রক্ষার উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে।

এদিকে, সিরিয়া ইস্যুতে আলোচনার জন্য তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান শনিবার রুশ ও ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করতে ফিদান দোহায় যাচ্ছেন।

সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে এ পর্যন্ত পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে দেশটির অর্ধেকেরও বেশি মানুষ।

শেয়ার করুন: