সিরিজ বাঁচাতে কাল মাঠে নামছে বাংলাদেশ
মাত্র কয়েক মাস আগে পাকিস্তানের মাটিতে ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের পর থেকে হারের বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে অবিস্মরণীয় সিরিজ জয়ের পর টানা পাঁচ টেস্ট হেরেছে টাইগাররা। সর্বেশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে ২০১ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। এন্টিগা দুঃখ এখনো ভুলতে পারেনি বাংলাদেশ। কাটেনি সেই হারের তিক্ত রেশ। এর মধ্যেই আবার মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে টাইগাররা। আগামীকাল শনিবার (৩০ নভেম্বর) জ্যামাইকার কিংস্টনের সাবিনা পার্কে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসেও দুর্দান্ত পারফরমেন্স করেছে বোলাররা। পেসার তাসকিন আহমেদের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ঐ ইনিংসে ১৫২ রানে অলআউট হয়েছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৬৪ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন তাসকিন। ঐ ম্যাচের দুই ইনিংসেই ব্যর্থ ছিলো টাইগার ব্যাটাররা। বিশেষভাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩২ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
ব্যর্থতার পরও ব্যাটারদের পক্ষে কথা বলেছেন বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর কুঁচকির ইনজুরির কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মিরাজ। প্রথম ম্যাচে লজ্জাজনক হারের পর মিরাজ বলেন, ‘আমি মনে করি আমরা কয়েকটি ভুল করেছি। কিন্তু এমনটা ঘটতেই পারে। আমরা আশা করি পরের ম্যাচে আমরা ঘুরে দাঁড়াবো।’
সিরিজের শেষ টেস্টে ঘুড়ে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করে মিরাজ জানান, সিরিজ হার এড়াতে প্রথম টেস্টের ভুলগুলো শুধরে নিয়ে দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে ভালো করতে বদ্ধপরিকর খেলোয়াড়রা। মিরাজ বলেন, ‘আমরা জানি আমরা কি ভুল করেছি এবং আমাদের আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরতে হবে। আমরা নিজেদের মধ্যে কথা বলেছি, আশা করছি পরের টেস্টে আমরা আমাদের সেরাটা দিতে পারবো।’
দেশ বা বিদেশের মাটিতে যেখানেই হোক তাসকিনের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের পেস আক্রমণ দুর্দান্ত পারফরমেন্স করছে। তাই টাইগারদের পেস আক্রমণের প্রশংসা করতে ভুল করেননি মিরাজ। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি আমরা সত্যিই ভালো বোলিং করছি। প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়েছে তাসকিন। আমাদের একটি ভালো পেস আক্রমণ আছে। তাসকিনের সঙ্গে হাসান ও শরিফুল ভালো বোলিং করছে। আমাদের স্পিনার তাইজুল ইসলামও আছে। প্রথম ইনিংসে সত্যিই ভালো বোলিং করেছে সে। তাদের পারফরমেন্সে আমি সত্যিই খুশি।’
২০০৯ সালের সফরে ২-০ ব্যবধানে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে জয়ের পর ক্যারিবিয়ান দ্বীপে কখনও সাদা পোশাকের ক্রিকেটে সিরিজ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। যদিও ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় সারির দলের বিপক্ষে তখন সিরিজ জিতেছিলো টাইগাররা। নিজ দেশের বোর্ডের সঙ্গে বিরোধের কারণে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওই সিরিজ খেলেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের শীর্ষ খেলোয়াড়রা।
দলের বেশিরভাগ সিনিয়র খেলোয়াড়দের ছাড়াই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চলমান সিরিজে খেলছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক শান্ত মত ইনজুরির কারণে এই সিরিজে খেলছেন না অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। দ্বিতীয় টেস্টের একাদশে পরিবর্তন আনতে পারে বাংলাদেশ। পেসারদের মধ্যে কাউকে বিশ্রাম দিতে পারে টিম ম্যানেজমেন্ট। শরিফুলকে বিশ্রাম দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এতে একাদশে সুযোগ হতে পারে নাহিদ রানার।