সালমান খুব শৌখিন ছিল: শাবনূর
সময়ের থেকে এগিয়ে থাকা এক নায়ক ছিলেন সালমান শাহ। নব্বই দশকের চলচ্চিত্রে তাকে ঘিরে যে উন্মাদনা তৈরি হয়েছিল তা শেষ হয়ে যায় তার অপমৃত্যুর মধ্য দিয়ে। আজ এই মহান নায়কের জন্মদিন।
মাত্র সাড়ে তিন বছরের ক্যারিয়ারে সালমান সবচেয়ে বেশি সিনেমা করেছেন শাবনূরের সঙ্গে। সালমান-শাবনূর জুটির রসায়নে মন ভরে গিয়েছিল দেশের সিনেমাপ্রেমীদের। ঢালিউডের অন্যতম জুটিতে পরিণত হন তারা। এতটাই সমাদৃত হন যে আজও সালমান নামটি নিলেই উঠে আসে শাবনূরের নাম।
সালমানের জন্মদিনে সহকর্মীরা যখন তাকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করলেন তখন শাবনূরও খুলেছেন মনের আগল। সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন প্রিয় সহকর্মী সম্পর্কে।
শাবনূর বলেন, ‘সালমানের মধ্যে ছেলেমানুষি ব্যাপার বেশি কাজ করত। জনপ্রিয় নায়ক হলেও সে ছিল খুবই খোলা মনের একজন মানুষ। কখনোই তাকে স্থির থাকতে দেখিনি। খুব প্রাণচঞ্চল একজন মানুষ ছিল। ওর মধ্যে ছেলেমানুষি কাজ করত বেশি। মানুষ হিসেবে খুব শৌখিনও ছিল। টাকাপয়সা নিয়ে খুবই উদাসীন ছিল। সেভাবে ভাবত না। যা আয় করত, তা-ই খরচ করে ফেলত বলা যায়।
সালমানের এই সহকর্মী আরও বলেন, ‘গাড়ির প্রতি সালমানের ছিল খুব বেশি আগ্রহ। বাজারে নতুন গাড়ি এলেই তার কিনতে হবে। সালমান গাড়ি চালাতেও খুব ভালোবাসত। শুটিং শেষে প্রায়ই সামিরা, আমার মাসহ গাড়িতে ঘুরতে বের হতাম।’
১৯৯৩ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবি দিয়ে চলচ্চিত্রে আগমন ঘটে সালমান শাহর। স্মার্টনেস ও ব্যক্তিত্ববোধের কারণে রাতারাতি তরুণ প্রজন্মের আইকনে পরিণত হয়ে ওঠেন এ নায়ক। মাত্র সাড়ে তিন বছরের ক্যারিয়ারে ২৭টি ছবি করেন। যার অধিকাংশই সুপারহিট। মৌসুমীর সঙ্গে জুটি বেঁধে চলচ্চিত্রে পা রাখলেও সালমানের বেশিরভাগ ছবির নায়িকা ছিলেন শাবনূর। এই জুটি তখন এমন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল যে, তাদের কোনো ছবি মুক্তি পেলেই দর্শক প্রেক্ষাগৃহে হুমড়ি খেয়ে পড়তেন।
১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেটের দারিয়াপাড়ায় নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন সালমান শাহ। তার বাবা কমর উদ্দিন চৌধুরী ও মা নীলা চৌধুরী। দুই ভাইয়ের মধ্যে সালমান বড়। ছোট ভাই শাহরান চৌধুরী ইভান। বৃশ্চিক রাশির জাতক সালমানের বিনোদনজগতে যাত্রা শুরু হয় বিজ্ঞাপনচিত্রের মডেল হিসেবে। তিনি ইস্পাহানি গোল্ডস্টার টি, জাগুয়ার কেডস, মিল্ক ভিটা, কোকাকোলা, ফানটা এবং জাগুয়ার কেডসের বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করেন।