সাড়ে ৩ বছর পর কারামুক্ত হচ্ছেন বাবুল আক্তার
উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় কারামুক্ত হচ্ছেন সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার।
রোববার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম কারাগার থেকে তার মুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
২০২১ সালের ১২ মে স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় প্রধান আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার হন বাবুল আক্তার। এরপর থেকে কারাগারে রয়েছেন তিনি। দীর্ঘ সময়ে তিনি মামলাটিতে বেশ কয়েকবার জামিন আবেদন করলে আদালত নামঞ্জুর করেন। সবশেষ গত ২৭ নভেম্বর বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে জামিন দেন।
বাবুল আক্তারের চট্টগ্রামের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ (রোববার) বাবুল আক্তারের জামিনের আদেশ বিচারিক আদালত অর্থাৎ তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। এখান থেকে জামিনের আদেশ নিয়ে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। একটু পর তিনি কারামুক্ত হবেন।
জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে তিনি পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয়দের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
তবে পরবর্তীতে স্ত্রী হত্যাকাণ্ডে স্বামী বাবুল আক্তারেরই সম্পৃক্ততা পায় পিবিআই। ২০২১ সালের ১২ মে আগের মামলাটিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। একই দিন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানায় দ্বিতীয় মামলাটি দায়ের করেন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন। ওইদিনই মামলাটিতে বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে পিবিআই। সেই থেকে কারাগারে রয়েছেন বাবুল।
এদিকে, প্রথম মামলায় পিবিআইয়ের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর নারাজি আবেদন করেন বাবুলের আইনজীবী। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একই বছরের ৩ নভেম্বর নারাজি ও পিবিআইয়ের প্রতিবেদন খারিজ করে মামলাটি অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন। এরপর দুটি মামলাই তদন্ত করতে থাকে পিবিআই। তবে পরে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০২২ সালের ২৫ জানুয়ারি মিতুর বাবার দায়ের করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়। এরপর একই বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রথম মামলাটি অধিকতর তদন্ত শেষে বাবুলসহ ৭ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।
গত বছরের ১৩ মার্চ আলোচিত মামলাটিতে বাবুল আক্তারসহ সাত আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।