সাকিব ইস্যুতে যা বললেন নতুন সভাপতি
১২ বছরের পাপন যুগ শেষে বাংলাদেশের ক্রিকেটে এসেছে পরিবর্তন। বুধবার (২১ আগস্ট) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন টাইগারদের সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ। সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর আজ মিরপুর হোম অব ক্রিকেটে এসেছিলেন নিজের প্রথম সংবাদ সম্মেলনে।
সেখানে কথা বলেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাথে যুক্ত নানা ইস্যু নিয়ে যার মধ্যে ছিল সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান প্রসঙ্গও। সভাপতি হিসেবে জানিয়েছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার নিয়ে তার ভাবনা।
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিবর্তনে ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছে আওয়ামী লীগকে। দলটির বেশিরভাগ নেতাকর্মী বর্তমানে রয়েছে আত্মগোপনে। ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানও গত নির্বাচনে মাগুরা-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। তাই স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠে বর্তমানে সাকিব কোনো পরিচয়ে দলে আছেন। সরকার পতনের পর সাকিব দেশে না এসে সরাসরি যোগ দিয়েছেন দলের সাথে পাকিস্তানে। তাই সবার প্রশ্ন কি এইভাবে দেশের বাইরে থেকে আরও খেলা চালিয়ে যেতে পারবেন সাকিব?
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবির নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদকে এ প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, সাকিব দেশের বাইরে থেকে খেলতে পারবে কি না, তা আমরা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করব। তিনি আরও বলেন, বোর্ডে এ বিষয়ে আলোচনা হবে, এবং আমাদের পলিসি কী হওয়া উচিত তা পরিচালকদের সঙ্গে আলোচনা করব।
ফারুক আহমেদ আরও যোগ করেন, বোর্ডে আমরা আলোচনা করব, সাকিবের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে এবং এ অবস্থায় সে খেলা চালিয়ে যেতে পারবে কি না। অবশ্যই, এটা বোর্ডের নীতির ওপর নির্ভর করবে।
কিছুদিন আগে পাকিস্তান সিরিজের দল ঘোষণার সময় প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন বলেছিলেন, আপাতত সাকিবের রাজনৈতিক পরিচয় দলে তার অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলছে না; তিনি মেধার ভিত্তিতেই দলে স্থান পেয়েছেন।
এ ব্যাপারে নতুন সভাপতি ফারুক বলেন, প্রধান নির্বাচক যে মন্তব্য করেছেন, তা আমি সমর্থন করি। যদি তাকে বোর্ড থেকে বলা হতো যে সাকিবকে দলে নেওয়া হবে না, তবে সেটি একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত হতো।
নতুন দায়িত্বে আসার পর, ফারুক আহমেদ ক্রিকেটারদের ওপর কঠোর নিয়ম আরোপের পরিকল্পনা করেছেন। তিনি আজ বোর্ডে অনানুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন। খেলোয়াড়দের জন্য কিছু নিয়ম যোগ করা হবে, যা তারা করতে পারবে এবং করতে পারবে না। বিশেষ করে সফরের সময়, সফরের আগে এবং পরে তাদের করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়গুলো উল্লেখ থাকবে।