সাকিবের প্রশ্নবিদ্ধ বোলিং অ্যাকশন নিয়ে যা জানাল বিসিবি
সাকিব আল হাসান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর প্রায় দুই দশক পার করে ফেললেন। এখনো নিয়মিত খেলে চলেছেন। বল হাতে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করে গেছেন প্রায় সময়। কিন্তু কখনও বোলিং অ্যাকশন নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়নি। সম্প্রতি শেষ হওয়া কাউন্টি মৌসুমে সারের হয়ে খেলতে গিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হলো সাকিব আল হাসানের বোলিং অ্যাকশন।
সম্প্রতি ইংল্যান্ডের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে গিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর পর কাউন্টি ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন হয় তার। ক্লাব সারের হয়ে প্রথমবারের মতো খেলেন তিনি। অভিষেকেই জানান দেন নিজের উপস্থিতি। বল হাতে সাকিব এক ম্যাচেই ৯ উইকেট নিয়ে আলোচনার সৃষ্টি করেন। তবে ওই ম্যাচ নিয়েই আবারো আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। তবে এবার আর ভালো কিছু নয়, প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে সাকিবের বোলিং অ্যাকশন।
জানা যায়, ভবিষ্যতে সাকিবকে কাউন্টিতে খেলতে নামার আগে অবশ্যই দিতে হবে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা। ইতোমধ্যে সাকিবকে এই বিষয়ে নিদের্শনাও দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দ্রুতই অ্যাকশন পরীক্ষা দিয়ে পূর্ণ মনযোগের সঙ্গেই ক্রিকেটে ফিরতে চান সাকিব। ফলে দ্রুতই স্বীকৃত কোনো ল্যাবে অ্যাকশনের পরীক্ষা দেবেন সাকিব, এমনটাই জানা যায়।
এই বিষয়টি নিয়ে এখন পর্যন্ত মুখ খুলেননি সাকিব। অন্যদিকে টাইগার এই অলরাউন্ডারের বোলিংয়ের অ্যাকশন নিয়ে আনুষ্টানিক ভাবে এখনও কিছু জানায়নি ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। এমনকি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকেও জানায়নি বিষয়টি। এরই মাঝে দেশের একটি গণমাধ্যম সাকিবের এ ব্যাপের বিসিবি একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘কাউন্টি ম্যাচে, মাঠের একজন আম্পায়ার জানিয়েছেন যে তিনি অ্যাকশনটিকে সন্দেহজনক মনে করেছেন। সাকিব যদি ইংল্যান্ডে আরও ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে চান তবে তাকে একটি পরীক্ষায় উপস্থিত হতে হবে।’
‘যদি তাকে ছাড় দেওয়া হয়, তাহলে সে ইংল্যান্ডে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে পারবে। বিষয়টির সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বা অন্য দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের কোনো সম্পর্ক নেই। বিষয়টি ইসিবি এখতিয়ারের অধীনে এবং আইসিসি বা অন্যান্য বোর্ডের সাথে সম্পর্কিত নয়।’
এদিকে বিসিবির সিনিয়র মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম সাকিবের এই ইস্যু নিয়ে বলেন, ‘সাকিবের বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার কোনো খবর আমি বা আমরা (বিসিবি) জানি না। সাধারণত, কোনো বোলারের বোলিং অ্যাকশন সন্দেহ হলে সেটা রিপোর্ট করেন আম্পায়াররা। ওই ক্রিকেটার যে ম্যাচে অংশ নিয়েছেন, সেই ম্যাচের আম্পায়াররা বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ হলে প্রথমে রিপোর্ট করেন।’
‘তখন সেই ক্রিকেটার যে দলের হয়ে অংশ নিয়েছেন, সেই ক্লাব, দল কিংবা জাতীয় দল- যেই হউক না হোক না কেন, সেখানে সবার আগে খবর দেয়। একইভাবে সে খবর আইসিসির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বোর্ডেও চলে আসে। সাকিবের ক্ষেত্রে এসব কিছুই হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইংলিশ কাউন্টি খেলতে গিয়ে বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সাকিবের। সেটা সেপ্টেম্বরের প্রথম অংশের খবর। তার দুই সপ্তাহ পরতো সাকিব ভারতের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে দুটি টেস্টও খেলেছে। রিপোর্টেড হলেতো আর ওই টেস্ট দুটি খেলা সম্ভব হতো না। কাজেই এ ধরনের সংবাদের কোনো ভিত্তি নেই।’