সাইমের রেকর্ড সেঞ্চুরি, ১০ উইকেটে জিতল পাকিস্তান
আগের ম্যাচে বৃষ্টি আইনে পাকিস্তানকে হারিয়ে চমকে দিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই শোধ তুললো পাকিস্তান।
এবার ১৯০ বল বাকি থাকতে ১০ উইকেটে জিতল তারা। ম্যাচে বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে রেকর্ড সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন পাকিস্তানের ওপেনার সাইম আইয়ুব। এটি আবার তার প্রথম সেঞ্চুরিও।
বুলাওয়ের কুইন্স স্পোর্টস ক্লাব মাঠে আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করে ৩২.৩ ওভারে ১৪৫ রান তুলতেই সব উইকেট হারিয়ে ফেলে জিম্বাবুয়ে। জবাবে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৮.২ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে পাকিস্তান পায় উড়ন্ত সূচনা। বিশেষ করে ঝড় তুলেছেন সাইম। এতটাই বিধ্বংসী ছিলেন যে, পাকিস্তানের হয়ে যৌথভাবে তৃতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েছেন তিনি। তিন অঙ্কে পৌঁছাতে ৫৩ বল খেলেছেন এই উদীয়মান ব্যাটার। তার সমানসংখ্যক বল খেলে সেঞ্চুরি আছে সাবেক পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদিরও।
অবশ্য ওয়ানডেতে ৩৭ বলেও সেঞ্চুরি আছে আফ্রিদির। যে কারণে পাকিস্তানের দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ানও তিনি। ১৯৯৬ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করা তার সেই সেঞ্চুরি দীর্ঘদিন বিশ্বের দ্রুততম ছিল। পরে ২০১৪ সালে ৩৬ বলে সেঞ্চুরি করে নিউজিল্যান্ডের কোরি অ্যান্ডারসন রেকর্ড ভেঙে দেন। সেই রেকর্ড পরের বছরেই ভেঙে দেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। মাত্র ৩১ বলে সেঞ্চুরি করেন দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি ব্যাটার। পাকিস্তানের হয়ে দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরিটিও আফ্রিদির দখলে। ২০০৫ সালে ভারতের বিপক্ষে ৪৫ বলে সেঞ্চুরি করেন ‘বুম বুম আফ্রিদি’।
সাইম আইয়ুব শেষ পর্যন্ত ১১৩ রানের অপরাজিত থাকেন। ১৮২.২৫ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছেন ৩ ছক্কা ও ১৭ চারে। আরেক ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক অপরাজিত থাকেন ৩২ রানে।
এর আগে পাকিস্তানি স্পিনারদের ঘূর্ণির সামনে দাঁড়াতেই পারেননি জিম্বাবুয়ের কোনো ব্যাটার। সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেছেন ডিওন মায়ার্স। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১ রান এসেছে শন উইলিয়ামসের ব্যাট থেকে।
বল হাতে ৮ ওভারে ৩৩ রান খরচে ৪ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের সেরা বোলার লেগ স্পিনার আবরার আহমেদ। এছাড়া আগা সালমান নিয়েছেন ৩ উইকেট। এছাড়া সাইম আইয়ুব ও ফয়সাল আকরাম নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।
আগামী নভেম্বর একই ভেন্যুতে হবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ।