সাইবার ক্রাইম মামলায় তমিজি গ্রেফতার, জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ
হক গ্রুপের এমডি আদম তমিজি হককে গ্রেফতার দেখিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। রাজধানীর দক্ষিণখান থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর গুলশান থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।
রাত সাড়ে দশটার দিকে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ ব্যাপারে ব্রিফ করেন ডিএমপির ডিবি প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
ডিবি প্রধান জানান, আদম তমিজি হককে আটকের পর গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এছাড়া তিনি নিজের পাসপোর্ট পোড়ানোর ঘটনা কেন ঘটিয়েছিলেন সেটা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
হারুন বলেন, দক্ষিণখান থানায় তার বিরুদ্ধে যে মামলা রয়েছে সেই মামলায় আদম তমিজি হককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে যদি মানসিক চিকিৎসা দেওয়ার দরকার হয় সেই ব্যবস্থাও করা হবে। এরপর তাকে এনে এসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, তিনি দেশে এসে এক ধরনের পাগলামি করছেন। শুধু তাই না, বাংলাদেশি পাসপোর্ট আগুন দিয়ে পুড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করেছেন। যে দেশে তার শিল্প কারখানা আছে, যে কারখানার আয় দিয়ে তিনি চলেন, সেই দেশের পাসপোর্ট পুড়িয়ে দেওয়া রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। এছাড়া তিনি অসংখ্য বিয়ে করেছেন। তার স্ত্রীও অভিযোগ দিয়েছেন। সবগুলো মিলিয়ে তাকে জিজ্ঞাবাদের জন্য আনা হয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাও আছে। আমরা জানার চেষ্টা করব তিনি কেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসে সরকারের বিরুদ্ধে, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে, পাসপোর্ট পুড়িয়ে আনন্দ উল্লাস করছেন।
হারুন আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে যদি আমাদের কাছে মনে হয় তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ তাহলে তাকে রিহ্যাবে পাঠানো হবে মানসিক চিকিৎসার জন্য। আর যদি মনে হয় তিনি সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত, বিভিন্ন মিডিয়ায় সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেছেন, পাসপোর্ট পুড়িয়েছেন, এগুলো যদি কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আদম তমিজী হককে গত ১৬ নভেম্বর গুলশানের বাসায় অভিযান চালিয়ে র্যাব আটক করতে গেলে আত্মহত্যার হুমকি দেন। এমনকি নিজের স্ত্রীকে হত্যারও হুমকি দেন।
রাজনৈতিক বিভিন্ন ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভে এসে দীর্ঘদিন ধরে সরকারের সমালোচনার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীকে নিয়েও আপত্তিকর মন্তব্য করেন তমিজী। নিজেকে ইহুদি দাবি করে ইসরায়েলের সাহায্য চেয়েও ফেসবুক লাইভ করেন এই ব্যবসায়ী।
গত সেপ্টেম্বর মাসে নিজের পাসপোর্ট পুড়িয়ে ব্যাপক আলোচনায় আসেন তিনি। ওই ঘটনার পর ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।