সংখ্যালঘু ইস্যুতে ‘ভুল ধারণা’ কূটনীতিকদের কাছে স্পষ্ট করল সরকার
ক্ষমতার পালাবদলের পর এদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়ন চলছে বলে ভারতীয় মিডিয়ার একাংশ যে ভুল ধারণা সৃষ্টি করেছে বিশ্বের সামনে তা স্পষ্ট করেছে সরকার। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ঢাকায় কর্মরত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করে প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরেছেন।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এ সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশি হিন্দুদের সম্পর্কে একটি ভুল ধারণা তৈরি করেছে ভারতীয় গণমাধ্যমের একাংশ। সেটি কূটনীতিকদের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশের সংখ্যালঘু পরিস্থিতি নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানত ভারতীয় মিডিয়ায় অপপ্রচার চাালানো হচ্ছে। এর বাইরেও অনেক মিডিয়া ভারতীয় মিডিয়াকে উপজীব্য করে অপতথ্য ছড়াচ্ছে। তবে আমরা বলতে চাই, সব সরকারের আমলেই বছরে দুই-একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে। সরকারের কাজ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা। আমরা সেটি করেছি। এরপরও দেশ ও দেশের বাইরে এ নিয়ে মিথ্যা তথ্য ও বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।
সরকারের অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা বার্তা দিতে চাই, বর্তমান সরকার সাম্প্রদায়িক কোনো অপতৎপরতা বরদাশত করবে না। আমরা হিন্দু-মুসলিম কোনো ভেদ করতে চাই না। কোনো বিশৃঙ্খলা দেখা গেলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।
এ সময় ব্রিটেনের অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের প্রতিবেদনের সমালোচনা করে বলেন, প্রতিবেদনটি একপেশে। তিনি বলেন, প্রতিবেদন তৈরিতে সেখানে অবস্থানরত একটি বিশেষ গোষ্ঠীর মানুষ প্রভাব রেখেছে। যুক্তরাজ্যে আওয়ামীপন্থী সাংসদের সংখ্যাও বেশি। তারা প্রতিবেদনকে প্রভাবিত করেছে। তারা আমাদের দূতাবাসকে এ বিষয়ে কিছু জানায়নি।
তিনি অভিযোগ করেন, একটি বিশেষ গোষ্ঠী তাদের সর্বশক্তি দিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
৫ আগস্টের আগে ও পরের সরকারের মধ্যে পার্থক্য আছে। এজন্য বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে কিছুটা সময় লাগতে পারে বলে জানান তিনি। উভয় দেশের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চায় বলে জানান তৌহিদ হোসেন।
কয়েকটি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা উস্কানিমূলক বলেও মন্তব্য করেন তিনি।