ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে বাদ শাহিন আফ্রিদি!
বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলা অবস্থাতেই প্রথমবারের মতো বাবা হওয়ার সুসংবাদ পেয়েছিলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। নবজাতক সন্তানের মুখে দেখার জন্য এই বাঁহাতি পেসারকে করাচিতে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। অর্থাৎ প্রাথমিকভাবে দ্বিতীয় টেস্টে খেলার কথা ছিল না শাহিন আফ্রিদির।
কিন্তু দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর দুই দিন আগে শাহিনকে ফের দলের সঙ্গে যোগ দিতে বলা হয়। বোর্ডের কথা মতো পরিবার থেকে বিদায় নিয়ে দলের সঙ্গে যোগ দেন শাহিন। অথচ পরের দিন সবাইকে চমকে দিয়ে শাহিনকে বাদ দিয়ে ১২ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করে পাকিস্তান।
গত দুই দিনের এসব নাটকীয়তা পাকিস্তানের ক্রিকেটে তৈরি করেছে ব্যাপক সন্দেহ। কেউ কেউ পাচ্ছেন ষড়যন্ত্রের গন্ধও।
দেশটির গণমাধ্যম ‘ক্রিকেট পাকিস্তান’ তাদের নিজস্ব সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, টিম ম্যানেজমেন্টের অনেক ব্যক্তি শাহিন আফ্রিদিকে পছন্দ করেন না। বাঁহাতি এই পেসারকে বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে তারা মূল ভূমিকা রেখেছেন।
শাহিনকে বাদ দেওয়ার প্রসঙ্গে পাকিস্তানের টেস্ট দলের হেড কোচ জেসন গিলেস্পি বলেছিলেন, তার বোলিংয়ের কিছু জায়গায় উন্নতি করতে হবে। এছাড়া পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগও শাহিনকে দিতে হবে।
যদিও বাংলাদেশের বিপক্ষে শুধু শাহিন একা নয়, অন্য ক্রিকেটাররাও ভালো করতে পারেননি। কিন্তু তাদের সবাই দ্বিতীয় টেস্টে খেলছেন। বাদ পড়েছেন কেবল শাহিন আফ্রিদি একা। তাহলে কি বাঁহাতি পেসারের উপরই প্রথম টেস্টের হারের দায় চাপিয়ে দিচ্ছে পিসিবি?
দল থেকে বাদ পড়ে ভীষণ মন খারাপ হয়েছে শাহিন আফ্রিদির। অনেকে মনে করছেন, শাহিনের উপর অন্যায় করা হয়েছে।
‘ক্রিকেট পাকিস্তান’ আরও জানিয়েছে, সম্প্রতি লিগ ক্রিকেটে খেলার একটি লোভনীয় প্রস্তাব পেয়েছিলেন শাহিন আফ্রিদি। শুধুমাত্র জাতীয় দলের সঙ্গে খেলবেন বলে সেই প্রস্তাবে গলে যাননি এই পেসার। কিন্তু দল থেকে বাদ পড়ার বার্তা পেয়ে হৃদয় ভেঙেছে শাহিনের।
শাহিনকে বাদ দিয়ে দ্বিতীয় টেস্টে স্পিনার আবরার আহমেদ ও পেসার মীর হামজাকে দলে নিয়েছে পাকিস্তান।
এর আগে দুই ম্যাচের সিরিজের প্রথম টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় পায় বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারায় টাইগাররা। পাকিস্তানের বিপক্ষে এটিই ছিল বাংলাদেশের প্রথম জয়। এমনকি টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এবারই প্রথম ১০ উইকেটে জয় পেল বাংলাদেশ।