শ্রীলঙ্কাকে বড় লক্ষ্য দিতে পারল না বাংলাদেশ
এশিয়া কাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। হংকংয়ের বিপক্ষে দাপুটে জয়ের পর টাইগারদের প্রতিপক্ষ এবার শ্রীলঙ্কা। আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন লঙ্কান অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে লাল-সবুজের দল। প্রথম দুই ওভারেই সাজঘরের পথ ধরেন দুই ওপেনার। এরপর নিয়মিত বিরতিতে দ্রুত আরও ৩ উইকেট হারায় লিটন দাসের দল। শেষ পর্যন্ত জাকের আলি-শামিম হোসেনের রানের ৮৬ রানের অপরাজিত জুটিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৩৯ রানের সংগ্রহ গড়ে বাংলাদেশ।
লঙ্কানদের বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দেখেশুনেই করতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশের ওপেনার তানজিদ তামিম। নুয়ান থুসারার করা প্রথম ওভার দেখেশুনেই খেলছিলেন তিনি। তবে প্রথম ৫ বল বেঁচে গেলেও ওভারেই শেষ বলে আর নিজের স্টাম্প বাঁচাতে পারেননি তিনি।
থুসারার করা ওভারের শেষ বলটা দারুণ এক ইন সুইংয়ে ভেঙে দেয় তামিমের স্টাম্প। ৬ বলে ০ রান করে আউট হন তামিম। এদিকে তামিমের বিদায়ে ক্রীজে আরেক ওপেনার পারভেজ ইমনের সঙ্গী হন অধিনায়ক লিটন দাস।
তবে ইমনও দলের হাল ধরতে পারেননি। দ্বিতীয় ওভারে তিনিও দেখেশুনেই খেলছিলেন। তবে দুষ্মন্ত চামিরার করা চতুর্থ বলে কট বহাইন্ড হয়ে তিনিও সাজঘরের পথ ধরেন ০ রানেই। দলীয় ০ রানেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর ক্রিজে লিটনের সঙ্গী হন তাওহিদ হৃদয়।
তবে দলীয় ১১ রানেই রান আউট হয়ে সাজঘরের পথ ধরতে হয় হৃদয়কে। ফেরার আগে তিনি ৯ বল খেলে করেন ৮ রান। এরপর শেখ মেহেদির সঙ্গে জুটি গড়ে দলীয় সংগ্রহ বাড়ানোর চেষ্টায় ছিলেন লিটন। দুজন মিলে গড়েছিলেন ২৭ রানের জুটি। তবে ব্যক্তিগত ৯ রানে মেহেদী আউট হলে ভাঙে জুটি। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার দারুণ এক ডেলিভারিতে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়ে আউট হন তিনি।
এরপর জাকের আলীর সঙ্গে সঙ্গেও জুটি গড়ার চেষ্টায় ছিলেন লিটন। এ দুজনের জুটি থেকে স্কোরবোর্ডে ১৫ রান যোগ হতে না হতেই আউট জন লিটন নিজেই। হাসারাঙ্গার বলে মেন্ডিসের ক্যাচে পরিণত হওয়া লিটন নিজের নামের পাশে যোগ করেন ২৬ বলে ২৮ রান। লিটন আউট হওয়ায় ৫৩ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ দলকে উদ্ধার করে জাকের-শামিম জুটি। এ দুজন মিলে জুটি গড়ে দলের রান বাড়ান। শেষ পর্যন্ত এ জুটি অপরাজিত ছিল রানে। এ দুজনের প্রতিরোধী জুটির সুবাদেই আর কোনো উইকেট না হারিয়ে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৩৯ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। জাকের ও শামিম অপরাজিত থাকেন যথাক্রমে ৪১ ও ৪২ রানে।