শ্রমিকের বকেয়া পাওনা সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী পরিশোধ করবে নাসা গ্রুপ: শ্রম সচিব
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. সানোয়ার জাহান ভুঁইয়া বলেছেন, নাসা গ্রুপের বিদ্যমান সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে শ্রমিক, মালিক ও সরকারের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি সমন্বয়ে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। নাসা গ্রুপের কারখানাগুলোর শ্রমিকের বকেয়া পাওনা সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী গ্রুপটি পরিশোধ করবে।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নাসা গ্রুপের অসন্তোষ নিরসনের লক্ষ্যে আয়োজিত সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সভায় জানানো হয়, নাসা গ্রুপ কর্তৃপক্ষকে তাদের শ্রমিক কর্মচারীদের বকেয়া বেতন ও অন্যান্য পাওনা পরিশোধের জন্য ফান্ড সংগ্রহ করে অতি দ্রুত পাওনা পরিশোধের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নাসা গ্রুপ কর্তৃপক্ষকে সব শ্রমিকের পাওনা অনলাইনের (বিকাশ, নগদ, রকেট ও ডাচ-বাংলা ব্যাংকিং ইত্যাদি) মাধ্যমে পরিশোধের জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।
যেসব শ্রমিকদের এসব অ্যাকাউন্ট নেই, তাদের নামের বিস্তারিত তালিকা করে আগামী ১০ অক্টোবর তারিখের মধ্যে অ্যাকাউন্ট করার ব্যবস্থা করতে হবে।
আরো জানানো হয়, এক্সিম ব্যাংকে নাসা গ্রুপের জমা করা প্রায় ২৪ কোটি টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে টাকা ছাড় করার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, লোকাল অফিস শাখায় নাসা গ্রুপের দুই কোটি আঠার লাখ ৪১ হাজার ৮৪০ টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ছাড় করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক পিএলসি নাসা গ্রুপের এক্সপোর্ট থেকে প্রাপ্ত চার কোটি ২৬ লাখ ৫৫ হাজার ৫০৭ টাকা থেকে ১% ডাউন পেমেন্ট কর্তন করে অবশিষ্ট টাকা ছাড় করার ব্যবস্থা গ্রহণ করে নাসা গ্রুপ কর্তৃপক্ষকে শ্রমিকের পাওনা পরিশোধ করতে হবে।
এছাড়া সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নাসা গ্রুপ কর্তৃপক্ষকে নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার (কারান্তরীণ) থেকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি স্বাক্ষরের সময় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট-এর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। নাসা গ্রুপ শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের জন্য সমঝোতা চুক্তি অঙ্গীকার অনুযায়ী শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে একটি ভিডিও বার্তা প্রচার করবেন।
সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, শ্রম অধিদপ্তর, দুদক, বাংলাদেশ ব্যাংক, বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন ব্যাংক, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, শ্রমিক, মালিক ও নাসা গ্রুপের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।