শেষ মুহূর্তের গোলে বাংলাদেশের রোমাঞ্চকর জয়
মালদ্বীপের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচে আজ মাঠে নামছে বাংলাদেশ। প্রথমটিতে হেরে শুরু করে টাইগাররা। আজ দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচে মাঠে নেমেছে লাল-সবুজের দল। তবে শুরুতেই গোল খেয়ে বসে বাংলাদেশ। কিন্তু প্রথমার্ধের বিরতির আগ মুহূর্তে গোল করে দলকে ১-১ সমতায় ফেরান জনি। এরপর ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধেও কাটে সমতায়, তবে ৯০ মিনিট খেলা শেষে ম্যাচের ইনজুরি সময়ে পাপন সিংহের গোলে জয়ের উল্লাসে ভাসে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত আর গোল না হলে মালদ্বীপকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে দুই ম্যাচ সিরিজে সমতা আনে টাইগাররা।
ম্যাচের শুরু থেকে মালদ্বীপ খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসে আক্রমণাত্মক খেলে। অপরদিকে বাংলাদেশ বিল্ডআপ করে খেলার চেষ্টা করেছে। নিচ থেকে খেলা তৈরি করে আক্রমণ করার চেষ্টা। তবে আগের ম্যাচের মতো সুবর্ণ সুযোগ সেভাবে তৈরি করতে পেরেছে কমই। আগের ম্যাচে গোল এসেছিল ১৮ মিনিটে। আজ হয়েছে ২৩ মিনিটে। তপুর ভুলের মাশুল দিতে হয়েছে।
ফাসির আরও একবার বাংলাদেশের হৃদয় ভাঙেন। তপুর শট গিয়ে পড়ে মালদ্বীপের একজনের পায়ে, সেখান থেকে ডিফেন্স চেড়া পাস ফাসির পেয়ে আগুয়ান গোলরক্ষকের পাশ দিয়ে বাঁ পায়ে আলতো করে জড়িয়ে দেন জালে। তপু আটকানোর চেষ্টা করেন ফাসিরকে, কিন্তু গোল বাঁচাতে পারেননি। তবে পিছিয়ে থেকে বাংলাদেশ বলার মতো দুটি সুযোগ পায়। ২৮ মিনিটে রাকিবের শট পোস্টের অনেক দূর দিয়ে যায়।
৪০ মিনিটে আরও একটি সুযোগ নষ্ট হয়েছে। রাকিবের নিচু ক্রসে ফাহিম চলতি বলে প্লেসিং করলে গোলকরক্ষক একটু পাশে সরে হাত দিয়ে প্রতিহত করেন। ফিরতি বলে মোরসালিনের শট পোস্টের অনেক ওপর দিয়ে যায়। তিন মিনিট পর মজিবর রহমান জনি দারুণ এক গোলে গ্যালারিতে আনন্দের বন্যা বইয়ে দেন।
বক্সের বাইরে থেকে মোরসালিনের ভেতর থেকে পাসে এক ডিফেন্ডারকে ডজ দিয়ে চার জনের মাঝ দিয়ে দারুণভাবে জায়গা বের করে নিয়ে দূরের পোস্ট দিয়ে জাল কাঁপান। তার গোলে ম্যাচে সমতা আনে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলে সমতায় থেকে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরেই গোলের সুযোগ সৃষ্টি করে বাংলাদেশ। ম্যাচের ৫০ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে জোড়ালো শট করেন রাকিব। তবে তা কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন মালদ্বীপের গোলরক্ষক। এর ৩ মিনিট পরেই গোলের সুযোগ পায় মালদ্বীপ। আলি ফাসিরের নেওয়া হেড দারুণ সেভ করেন গোলরক্ষক মিতুল মার্মা। এরপর আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে খেলতে থাকে দুই দল। তবে গোলের দেখা পাননি কেউ।