শুভেচ্ছাদূত থেকে সাকিবকে বাদ দিয়ে দিল বিএসইসি
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) শুভেচ্ছাদূত হিসেবে ছিলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। কিন্তু সম্প্রতি তার নামে নানা অনৈতিক কাজে সম্পৃক্ততা ও বিতর্কিত হওয়ায় তাকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। আজ রাজধানীতে কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিএসইসি জানিয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ছিলেন বিএসইসির ‘দেশব্যাপী বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমের’ শুভেচ্ছাদূত। ২০১৭ সালে সাকিব আল হাসানকে এ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত করে বিএসইসি। মূলত, দেশের পুঁজিবাজারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল এবং বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করতে তৎকালীন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল বিএসইসি।
তৎকালীন সময়ে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব সিকিউরিটিজ কমিশন, বিশ্বজুড়ে সিকিউরিটিজ নিয়ন্ত্রকদের একত্রিত করে এমন একটি সংস্থা যা আর্থিক বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য বৈশ্বিক মান নির্ধারক হিসেবে স্বীকৃত, তারা সুনামধন্য রাজনীতিবিদ, ক্রীড়াবিদ, পেশাদার ব্যক্তিত্ব বা খ্যাতিমান ব্যক্তিদের সদিচ্ছা দূত হিসেবে নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছিল।
তবে, সম্প্রতি সাকিব এবং তার প্রতিষ্ঠান মোনার্ক হোল্ডিংসকে পুঁজিবাজারে একাধিক কারসাজির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শাস্তি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। উল্লেখ্য, সাকিব যখন বিএসইসির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন তখনও মোনার্কের ওপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।