শীতে কাঁপছে কুড়িগ্রাম, তাপমাত্রা নেমেছে ১৫ ডিগ্রিতে
ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন চারিদিক। রাতভর বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। ভোর থেকে কুয়াশার ঘনত্ব আরও বেড়ে যাওয়ায় কিছু দেখা যায় না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা কিছুটা কমতে থাকে। দিনের বেলা কুয়াশা ভেদ করে কিছু সময়ের সূর্যের উঁকি দিলেও কাঙ্ক্ষিত উত্তাপ ছড়াতে না পারার কারণে শীতের তীব্রতা অনুভূত হয় দিনজুড়ে। বিকেল গড়াতেই আবারও শীত অনুভূত হতে থাকে। উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের চিত্র এটি।
গত কয়েকদিন ধরেই এভাবে শীত জেঁকে বসায় কাবু হয়ে পড়েছেন জেলার দিনমজুর ও ছিন্নমূল মানুষ।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) সকালে কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা করার কথা জানিয়েছে কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিস।
কয়েকদিন ধরেই সন্ধ্যার পর থেকে কুয়াশা পড়তে শুরু করে। ধীরে ধীরে এর তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। গত এক সপ্তাহ থেকে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫-১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে।
শীতের প্রকোপে বেড়ে যাওয়ায় ঠান্ডার জবুথবু হয়ে পড়েছেন এ অঞ্চলের মানুষ। শীত নিবারণের জন্য মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো আগাম প্রস্তুতি নিলেও নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া ও শ্রমজীবী মানুষগুলো শীতবস্ত্র সংগ্রহ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছে। এছাড়া প্রচণ্ড ঠান্ডায় গরু-ছাগলগুলোর কষ্ট হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম সদর যাত্রাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা শফিকুল বলেন, দুই দিন ধরে প্রচুর কুয়াশা পড়ছে। আর গতকাল থেকে ঠাণ্ডা প্রচুর। সেজন্য মানুষের খুব কষ্ট হচ্ছে।
জানা গেছে, শীতার্ত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ৯ উপজেলা ও ৩ পৌরসভায় ৩১ হাজার কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকের ত্রাণ ভান্ডারে মজুত আছে আরও ১৫ হাজার কম্বল।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, আজ সকালে জেলার সর্বনিম্ন ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।