November 21, 2024
জানার আছে অনেক কিছুলেটেস্ট

শিশুর স্কুলিং: সংশ্লিষ্টদের যা করা উচিৎ

১৯৯৮ সাল, ডিসেম্বর মাস। বিজয়ের এই মাসে সেন্ট গ্রেগরি উচ্চ বিদ্যালয়ে এলেন স্কুলের এক প্রাক্তন শিক্ষার্থী, তিনি নোবেল প্রাইজ পেয়েছেন কিছুদিন হলো। স্কুলের প্রধান শিক্ষক ৫০ বছর আগের রেজাল্ট কার্ড বের করেছেন, দেখেন এই শিক্ষার্থী স্কুলের ৩৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ফলাফলগত বিশ্লেষণে অবস্থান করেছেন ৩৩তম।

নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত এই প্রাক্তন কৃতি শিক্ষার্থীর নাম অমর্ত্য সেন।

সুধি সমাবেশে দেওয়া বক্তৃতায় অমর্ত্য সেন বললেন, আমি মূলত: পড়ালেখায় ভাল করতে শুরু করি শান্তি নিকেতনে গিয়ে। ওখানে তখন ততটা খবরদারি নেই, যতটা খবরদারির মুখোমুখি আমি এখানে হয়েছি। ফলে আমার বিকাশটা ভাল হতে শুরু করলো।

এ থেকে একটা বিষয়ে ঈঙ্গিত পাওয়ার আছে, তাহলো, প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহের স্কুলিং পরিবেশ কেমন হওয়া উচিৎ।

অহেতুক শিক্ষার্থীর উপর বোঝা চেপে যাচ্ছে কীনা, স্কুল কর্তৃপক্ষের সেটা দেখা উচিৎ। দেখা উচিৎ স্কুল সংক্রান্ত নীতি নির্ধারকদেরও। দেখা উচিৎ তাঁদেরও, যারা পাঠ্যপুস্তক রচনা করেন। দেখা উচিৎ পরিবারেরও।

বেশী বেশী বোঝা, ভারি ভারি পাঠ, অসৃষ্টিশীল হোমওয়ার্ক, অকেজো মুখস্ত বিদ্যার চর্চা, বাচ্চার বিকাশকে রুদ্ধ  করতে পারে। স্কুল তাঁর কাছে বেদনায়কভাবে বিরক্তিকর হয়ে উঠতে পারে।

প্রতিটি শিশু আলাদা। এমনকি জমজ দুটি বাচ্চাও, স্বভাবে ও রুচিতে তাঁরা পৃথক। কে কীভাবে গ্রহণ করছে, কার কী সাইকোলজি, সেটা বুঝতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে।

স্কুল ও পরিবার, দু’দিক থেকেই এই খেয়ালটা গভীর যত্নের সাথে রাখতে হবে।

শেয়ার করুন: