শাহজাহান খানের মামলায় খালাস পেলেন যুগান্তর প্রকাশক ও সম্পাদকসহ ৩ জন
সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের দায়ের করা মানহানির মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার প্রকাশক অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, সম্পাদক সাইফুল আলম ও প্রতিবেদক জসীম চৌধুরী সবুজ।
আদালতে সালমা ইসলাম ও সাইফুল আলমের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম রেজাউল করিম চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার পর যুগান্তরের প্রকাশক অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম বলেন, ‘দৈনিক যুগান্তর সবসময় বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করে। এজন্য পত্রিকাটি দেশের শীর্ষস্থানে রয়েছে।’
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় সম্পাদক সাইফুল আলম বলেন, ‘একটা সংবাদের জন্য আমাদের ওপর এই হয়রানিমূলক মামলা করা হয়েছিল, যার জন্য দীর্ঘ ১২ বছর আদালতের বারান্দায় ঘুরেছি। একজন জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে এ ধরনের হয়রানিমূলক মামলা খুবই অপ্রত্যাশিত।’
আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী জিয়াউল হক ও মোরশেদুজ্জামান।
দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ২০১১ সালের ২৪ আগস্ট ‘অভিজ্ঞতা অর্জনের নামে নৌ মন্ত্রীর কোটি কোটি টাকা অপচয়, ১৪ বার বিদেশ সফর’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সাংবাদিক জসিম চৌধুরী সবুজ প্রতিবেদনটি তৈরি করেন। এছাড়া পরদিন ২৫ আগস্ট যুগান্তর ‘নৌ খাতে অহেতুক অপচয়’ শিরোনামে সম্পাদকীয় প্রকাশ করে। পরে বিষয়টি সম্পূর্ণ অসত্য বলে দাবি করেন শাজাহান খান এবং তিনি ১০ কোটি টাকা মানহানির মামলা করেন।
ওই মামলায় উল্লেখ করা হয়, ‘শাজাহান খান মন্ত্রী নিযুক্ত হওয়ার পর ছয়বার বিদেশ সফর করেছেন। অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য একবার বিদেশ সফর করেছেন। যুগান্তর যে সংবাদ ছেপেছে, তা মিথ্যা। এ বিষয়ে প্রতিবাদ পাঠালেও যুগান্তর কর্তৃপক্ষ ভেতরের পাতায় তা নামমাত্র ছাপিয়েছে। প্রকাশিত সংবাদে পাঠকসহ বাদীর নির্বাচনী এলাকার জনগণ এবং দেশবাসীর কাছে বাদীর ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।’
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, ‘যুগান্তর প্রকাশক অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, সম্পাদক সাইফুল আলম ও রিপোর্টার জসিম চৌধুরী সবুজ পরস্পর যোগসাজসে বাদীকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য উদ্দেশ্য মূলকভাবে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, মানহানিকর সংবাদ ও সম্পাদকীয় কলাম ছেপেছেন।’
ঢাকা প্রতিনিধি