October 18, 2024
আন্তর্জাতিক

লেবাননে যুদ্ধবিরতির জন্য যে শর্ত দিলো মোসাদ

ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস যদি তার কব্জায় থাকা অবশিষ্ট ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেয়, তাহলে গাজার পাশাপাশি লেবাননেও সামরিক অভিযান বন্ধ করবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

এ ইস্যুতে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র প্রধান উইলিয়াম বার্নসের সঙ্গে মোসাদপ্রধান ডাডি বার্নিয়ার বৈঠকও হয়েছে। সিআইএ’র একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম ওয়ালা নিউজ এজেন্সিকে নিশ্চিত করেছেন এসব তথ্য।

উইলিয়াম বার্নসের সঙ্গে বৈঠকে বার্নিয়া বলেছেন, ইসরায়েল বিশ্বাস করে যে হিজবুল্লাহ, ইরান এবং সম্ভভাবাপন্ন অন্যান্য গোষ্ঠী যদি হামাসের বর্তমান শীর্ষ নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ওপর চাপ প্রয়োগ করে, কেবল তাহলেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে জিম্মিদের মুক্তি সম্ভব।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৪২ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় হামাস যোদ্ধারা। হামাসের এই হামলার জবাব দিতে এবং আটক জিম্মিদের উদ্ধারে গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী, যা এখনও চলছে। এরইমধ্যে এ অভিযানে নিহত হয়েছেন ৪২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।

গত এক বছরের বিভিন্ন সময়ে নিজেদের কব্জায় থাকা জিম্মিদের মধ্যে থেকে মোট ১০৯ জনকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। অবশিষ্ট ১৩৩ জনের মধ্যে কয়েকজন এরইমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন।

এদিকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরু করার পর হামাসের প্রতি সংহতি জানিয়ে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল থেকে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় বিভিন্ন সামরিক-বেসামরিক স্থাপনায় রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ শুরু করে হামাসের মিত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। পাল্টা জবাব দিচ্ছিল ইসরায়েলের সেনাবাহিনীও। উভয়পক্ষের রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র বিনিময়ের জেরে গত এক বছরে লেবানন ও ইসরায়েলে প্রাণ হারিয়েছে কয়েক হাজার মানুষ।

গত ২০ অক্টোবর থেকে দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনাকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। তার ১০ দিন পর থেকে অভিযানে অংশ নেয় স্থল বাহিনীও। ইসরায়েলি বাহিনীর প্রায় ২১ দিনের অভিযানে দক্ষিণ লেবাননে নিহত হয়েছেন ২ হাজারেরও বেশি মানুষ।

শেয়ার করুন: