লিটন দাস ৬ ১ ০ ০ ২ ৪ ০
৬ ১ ০ ০ ২ ৪ ০! নাহ এটা কোনো পিন নম্বর নয়। সবশেষ ৭ ইনিংসে লিটন দাসের রান এগুলো। ৭ ম্যাচের একটিতেও তিনি দুই অংকের রানের ঘরে যেতে পারেননি। তার ব্যাটে শেষবার ফিফটিও এসেছিল ১৪ ইনিংস আগে। দিনের হিসেবে সেটা ১৪ মাস আগে ওয়ানডে বিশ্বকাপে, পুনেতে ভারতের বিপক্ষে। এরপর থেকেই তার ব্যাটে রান খরা। যা নিয়ে এখনও বয়ে চলেছেন তিনি।
উইন্ডিজ সফরে টানা তিন ম্যাচেই তিনি ম্যাচেই তিনি হয়েছেন ব্যর্থ। এর মধ্যে আজ তিনে নেমে রানের খাতা খোলার আগেই আউট হয়েছেন। আউট হওয়ার ধরণটাও ছিল অদ্ভুত। বলটি ছিল অফ স্টাম্পের বাইরে, লিটন সেটাকে পুল করার চেষ্টা করেছিলেন, তবে বলটি ব্যাটের টো-এন্ডে বলটি লেগে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে দাঁড়িয়ে থাকা লুইসের হাতে ধরা দেয়। বলটি পুল করার জন্য প্রস্তুত হলেও, ঠিকমতো শটটি খেলতে না পারায় আউট হন।
ফর্মহীনতার কারণে ওয়ানডে দল থেকে লিটনকে বাদও দেওয়া হয়েছিল। যে কারণে আফগানিস্তান সিরিজে তিনি ছিলেন না। কিন্তু সাম্প্রতিককালে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম ইনজুরির কারণে ছিটকে যাওয়ায় তাকে আবার দলে ফেরানো হয়েছে। কিন্তু ফিরে এসেও তিনি সুযোগ কাজে লাগাতে পারছেন না। নিজের ভুলগুলো তিনি শোধরাননি, একই ভুলের ফাঁদে বারবার তিনি পা দিচ্ছেন।
উইন্ডিজ সিরিজে তিনি যতগুলো ম্যাচে আউট হয়েছেন সবগুলোতেই শট পজিশন নেওয়ার সময় দেখা গেছে তার পায়ের টো পজিশন কভার বরাবর। যে কারণে তার মাথার পজিশনও সরে যাচ্ছে। কিন্তু টো পজিশন যদি স্ট্রেইট হত তাহলে মাথার পজিশনও সরে যেত না, তার এই ধরণের শট নিয়েও ধুঁকতে হত না।
তবে জাতীয় দলের সাবেক ব্যাটসম্যান ও ক্রিকেট কোচ তুষার ইমরান সেটা মানছেন না। দেশ রূপান্তরের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘লিটনের মতো ক্লাস ব্যাটসম্যান বাংলাদেশে খুব কম। টেকনিক্যালি সাউন্ড ব্যাটসম্যান সে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে সে রান পাচ্ছে না। যে কারণে একটু মানসিক চাপে আছে। একটা ভালো ইনিংস যদি পেয়ে যায়, তাহলে সব সমাধান হয়ে যাবে তার।’