December 31, 2025
আন্তর্জাতিক

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: জানুয়ারিতে স্বাক্ষরিত হবে ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনা : জেলেনস্কি

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধাবসানে ২০টি পয়েন্ট সম্বলিত নতুন যে শান্তি পরিকল্পনা প্রস্তাব করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, সেটি আসন্ন জানুয়ারি মাসেই কিয়েভ ও মস্কো স্বাক্ষর করবে বলে মনে করছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। বুধবার এক ঘোষণায় এ তথ্য জানিয়েছেন জেলেনস্কি। ঘোষণায় গত রোববার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে তার সাম্প্রতিক বৈঠক সফল হয়েছে উল্লেখ করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, “ফ্লোরিডায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আমার সাম্প্রতিক বৈঠক সফল হয়েছে। আশা করছি, আগামী জানুয়ারির মধ্যেই ইউক্রেন, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং ইউরোপ প্রস্তাবিত নথি (ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনা) নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাবে এবং সেটি স্বাক্ষরিত হবে।” বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা (সিকিউরিটি গ্যারান্টি) চেয়েছিলেন জেলেনস্কি। যুক্তরাষ্ট্র এই শর্তে রাজিও হয়েছে। এ ব্যাপারে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনার ৫ নম্বর পয়েন্টে বলা হয়েছে, আগামী ১৫ বছর ইউক্রেনকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে জেলেনস্কি চাইছেন, এই মেয়াদ যেন ১৫ বছর থেকে ৫০ বছরে উন্নীত করা হয়। ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে এই নিয়ে বর্তমানে কিয়েভের আলোচনা চলছে। মঙ্গলবারের ভাষণে এ ব্যাপারে জেলেনস্কি বলেন, “নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়ে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা চলছে। আমি আশা করছি, ইউক্রেন এবং তার নাগরিকদের নিরাপত্তাগত স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।” নিরাপত্তা নিশ্চয়তার প্রসঙ্গে জেলেনস্কি আরও বলেন, ইউক্রেন শুধু যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা চেয়েছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরের পর এই ব্যবস্থার আওতায় কেবল মার্কিন সেনাবাহিনীই ইউক্রেনে অবস্থান করবে। নিরাপত্তার স্বার্থে ইউক্রেনকে ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্বের সবচেয়ে অগ্রসর আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম প্রদান করবে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। মঙ্গলবারের ভাষণে যুদ্ধ পরবর্তী পুনর্গঠন নিয়েও কথা বলেছেন জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের পুনর্গঠনকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছেন এবং যুদ্ধবিরতির পর মার্কিন ও ইউরোপীয় বিভিন্ন কোম্পানি ইউক্রেনের পুনর্গঠন ও অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ করবে। “আমাদের লক্ষ্য হলো যুদ্ধ পরবর্তী ইউক্রেনে নাগরিকদের গড় মজুরি বা আয় বৃদ্ধি করা। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন যে এ ব্যাপারে তিনি আমাদের সহযোগিতা করবেন। আমি তার প্রতি খুবই কৃতজ্ঞ।”
শেয়ার করুন: