November 21, 2024
লাইফস্টাইল

রক্তে ‘ক্ষতিকর’ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে কাঁচা রসুনের টোটকা

কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়লে তা শিরা-ধমনির মধ্যে জমা হতে থাকে। ফলে শিরা-ধমনিগুলো সরু এবং শক্ত হয়ে যায়। তাই রক্ত চলাচলে বাধার সৃষ্টি হয়।

ঘরে ঘরে এখন কোলেস্টেরলের সমস্যা। চর্বি জাতীয় খাবার বেশি খেলেই ‘ক্ষতিকর’ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে যায় বলে অনেকের ধারণা। এ ধারণা সবসময় সঠিক নয়। আসলে প্রত্যেকের শরীরের বিপাকহারের উপর নির্ভর করে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়বে কি না। কারো যদি ডায়াবিটিস থাকে তা হলে জটিলতা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে গেলে তা রক্তবাহের মধ্যে জমা হতে থাকে। ফলে রক্তবাহগুলো সরু এবং শক্ত হয়ে যায়। তাই রক্ত চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। ফলে রক্তচাপ বাড়ার সঙ্গে বেড়ে যায় হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও। তবে আয়ুর্বেদ বলছে, রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিদিন অন্তত একটি করে রসুনের কোয়া খাওয়া দরকার।

রসুনে এমন কী আছে?

অনেকেই রসুন কাঁচা খেতে পছন্দ করেন না এর তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধের কারণে। তবে পুষ্টিবিদরা বলছেন, রসুনের মধ্যে ‘অ্যালিসিন’ নামক যে উপাদান আছে তা রক্তে ‘ক্ষতিকর’কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইডের সমতা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। আচমকা স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ঝুঁকিও কমে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকলে। ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণেও রসুনের বিশেষ ভূমিকা আছে।

কাঁচা রসুন কীভাবে খাবেন?

এক কোয়া কাঁচা রসুন সকালে খালি পেটে খেতে পারলে ভালো হয়। অল্প কাঁচা রসুন বাটা গরম ভাতে মিশিয়েও খেতে পারেন। কাচের শিশিতে মধু ভরে তার মধ্যে কাঁচা রসুনের কোয়া রেখে খেতে পারেন। এটি সপ্তাহ দুয়েক পর্যন্ত ভালো থাকতে পারে যদি তা সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা যায়। কাঁচা রসুনের এই টোটকা হার্ট ভালো রাখার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তুলতেও কার্যকরী।

শেয়ার করুন: