যে মামলায় গ্রেফতার সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান
সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে অব্যাহতি পাওয়া আলোচিত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক (ডিজি) থাকাকালীন তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দিনগত রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
নিউমার্কেট থানার একটি হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি-মিডিয়া) মো. ওবায়দুর রহমান।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসানকে নিউমার্কেট থানায় হওয়া মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেফতার করা হয় তাকে।
তবে এক সংশোধনীর মাধ্যমে রাত ৮টা ৩৫ মিনিটের দিকে ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ থেকে ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়ে জানানো হয়, সেনাবাহিনীর সদস্যরা সাবেক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
ক্ষুদেবার্তায় ডিএমপি আরও জানায়, এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় সেনাবাহিনীর আশ্রয় গ্রহণ করলে ১৫ আগস্ট দিবাগত রাতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অসংখ্য লোকের ফোনে আড়িপাতা ও গুমের অভিযোগও রয়েছে। শেখ হাসিনা সরকার পতনের পরদিন ৬ আগস্ট মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
২০২২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক আদেশে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালকের (ডিজি) দায়িত্ব দেওয়া হয় মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে।
জিয়াউল আহসান ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। তিনি সেনাবাহিনীর একজন প্রশিক্ষিত কমান্ডো ও প্যারাট্রুপার। ২০০৯ সালের ৫ মার্চ র্যাব-২ এর উপ-অধিনায়ক ও একই বছর লে. কর্নেল হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে র্যাব সদরদপ্তরের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক হন তিনি।
২০১৩ সালের ডিসেম্বরে তিনি কর্নেল হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে র্যাব সদরদপ্তরের গোয়েন্দা শাখার অতিরিক্ত মহাপরিচালকের দায়িত্ব পেয়েছিলেন।