যে কারণে ‘মিনিস্ট্রি অব সেক্স’ চালুর চিন্তা করছে রাশিয়া
দেশের জনসংখ্যা বাড়াতে ‘মিনিস্ট্রি অব সেক্স’ চালু করার কথা ভাবছে রাশিয়া। রুশ পরিবার সুরক্ষা, পিতৃত্ব, মাতৃত্ব ও শৈশব সম্পর্কিত রাশিয়ান সংসদের কমিটির চেয়ারম্যান নিনা ওসতানিনা এই ধরনের একটি মন্ত্রণালয়ের পক্ষে একটি পিটিশন পর্যালোচনা করছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য মিরর এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চলমান ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিপুল সেনা সদস্য হারাচ্ছে রাশিয়া। প্রকৃতপক্ষে, এই কারণে ভবিষ্যতে যাতে পর্যাপ্ত জনবলের অভাব না পড়ে সে জন্য এমন উদ্যোগ নেওয়ার কথা ভাবছে রুশ সরকার।
জনসংখ্যা বাড়াতে এমন উদ্যোগ নেওয়ার পক্ষে নিজের সমর্থন দিয়েছেন পুতিনের কট্টর সমর্থক হিসেবে পরিচিত ক্রেমলিনের ডেপুটি মেয়র অ্যানাস্তাসিয়া রাকোভা।
তিনি বলেন, সবাই জানে যে, নারীদের মধ্যে প্রজনন হার বাড়ানো ও গর্ভবতী হওয়ার যোগ্যতা বাড়াতে বিশেষ টেস্ট রয়েছে।
‘মিনিস্ট্রি অব সেক্সের’ কাজ কী হবে?
যে পিটিশন দায়ের করা হয়েছে তাতে বিভিন্ন প্রস্তাব আনা হয়। এতে বলা হয়, রাতের ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা যেতে পারে। এ ছাড়া এ সময় বন্ধ রাখা যেতে পারে আলোর ব্যবস্থাও। বাড়িতে থাকা নারীদের আলাদা করে ভাতা দেওয়া যেতে পারে।
একবার সন্তান নিলে পাঁচ হাজার রুবল পর্যন্ত ভাতার ব্যবস্থা রাখার সুপারিশও করা হয়। এ ছাড়া বিয়ের পর প্রথম রাতে বিশেষ কোথাও রাত কাটানোর জন্যও আলাদা খরচ দেওয়া যেতে পারে।
এর আগে গত বছর পুতিন বলেছিলেন, ‘পরিবার নিয়ে আমাদের দেশে যে প্রথা রয়েছে, তা অনেকেই মানেন। বিশেষ করে ৪, ৫ কিংবা এর বেশি সন্তান নেওয়ার বিষয়টি। তবে আমাদের দাদা–দাদীরা কিন্তু ৭–৮টা করে সন্তান নিতেন। আসুন, সেই ধারা ফিরিয়ে আনি। অনেক সন্তান নেওয়া, বড় পরিবার; যেন প্রথায় পরিণত হয়।’
ইউক্রেন যুদ্ধে দুই পক্ষেরই হতাহত বাড়ছে। এ কারণে দেশের নারীদের প্রত্যেককে ৮ কিংবা এর বেশি সন্তান নিতে বলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এছাড়া পরিবার বড় করতেও বলেছিলেন তিনি।