মৎস্য খাতে জলবায়ুর ক্ষতি মোকাবিলায় তেমন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, কৃষিতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ফসলের ক্ষতি নিয়ে বেশি আলোচনা হলেও অবহেলিত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত। এ খাত নিয়ে খুব কম আলোচনা হয়। এসব খাতে জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় তেমন উদ্যোগও নেওয়া হয়নি। যদিও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদে ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘কমিউনিটি বেইজড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকোয়াকালচার ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ রিস্ক অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি অ্যাসেসমেন্ট (সিআরভিএ)- শীর্ষক কর্মশালালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এ কর্মশালার আয়োজন করে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) বাংলাদেশ।
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, বাংলাদেশে আকস্মিক বন্যা সমস্যা প্রায়ই ঘটছে। এ সমস্যার জন্য শুধু বাংলাদেশের ওপর নির্ভর করে না বরং আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলো অনেকাংশে দায়ী। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ক্রস কান্ট্রি ও ক্রস বাউন্ডারি আলোচনা দরকার।
কর্মশালায় বক্তারা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশে টেকসই মৎস্য ও মৎস্য চাষ উন্নয়ন করার ওপর গুরুত্ব দেন। তারা বলেন, বাংলাদেশ একটি জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ, যেখানে বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চল ও মৎস্য খাত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মারাত্মক ঝুঁকির সম্মুখীন। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ঝুঁকি মোকাবিলার জন্য স্থানীয় জনগণকে অভিযোজিত ও টেকসই কৌশল শেখানো এবং বাস্তবায়নে আরও বেশি সহায়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার, বাংলাদেশে এফএওর প্রতিনিধি জিয়াকুন শি এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জিল্লুর রহমান।
মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে এফএওর প্রতিনিধি জিয়াকুন শি। এছাড়া কর্মশালায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিইজিআইএসের প্রজেক্ট এক্সপার্ট মোহাম্মদ মুকতারেজ্জামান, এফএও’র প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ড. মো. আবুল হাসনাত।
কর্মশালায় বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।