মেয়েকে ২ বছর গুম করে রেখেছিলেন বাবা-মা!
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
পেইসলি শলটিসের বয়স যখন চার বছর, তখনই সে নিখোঁজ হয়। এরপর দীর্ঘ অনুসন্ধান চালিয়েও পুলিশ তার হদিস পায়নি। দুই বছরের বেশি সময় পর সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দাদাবাড়ির সিঁড়ির নিচে একটি গোপন কক্ষ থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক রাজ্যের পুলিশ জানায়, সোমবার সুগেটিস শহরের একটি বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। পেইসলি এখন সুস্থ আছে। তাকে বৈধ অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিবিসি ও দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালের জুলাইয়ে নিউইয়র্কের তিয়োগা কাউন্টি থেকে পেইসলি শলটিস নিখোঁজ হয়েছিল বলে জানায় পুলিশ।
ওই সময় ধারণা করা হয়, পেইসলিকে অপহরণ করেছেন তারা মা কিমবারলি কুপার (৩৩) ও বাবা কিরক শলটিস জুনিয়র (৩২)। দুই বছর ধরে নিখোঁজ সেই শিশুকে অবশেষে একটি লুকানো সিঁড়ি ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়।
সোমবার পুলিশ জানায়, তথ্য পেয়ে সুগেটিস শহরে পেইসলির দাদার বাড়িতে অনুসন্ধান চালানো হয়। তখন তার দাদা কিরক শলটিস সিনিয়র (৫৭) জানান, বাসায় পেইসলি নেই। পরে পুলিশ খুঁজতে গিয়ে সিঁড়ির নিচে গোপন ঘরে শিশুকে সুস্থ অবস্থায় পায়।
পুলিশ জানিয়েছে, সিঁড়ির নিচে সেই ঘরে পেইসলি ও তার মা কুপারকে পাওয়া যায়। নিখোঁজ হওয়ার আগে পেইসলি ও তার বড় বোনকে নিজেদের হেফাজতে রাখা নিয়ে এক আইনি লড়াইয়ে হেরেছিলেন তাদের মা-বাবা।
পুলিশ মনে করছে যে, ওই ঘটনার জেরেই পেইসলিকে অপহরণ করা হয়। অভিভাবকত্ব নিয়ে আইনি লড়াইয়ে হেরেই তারা মেয়েকে অপহরণ করার সিদ্ধান্ত নেন।
পুলিশ জানিয়েছে, পেইসলি নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে তারা বেশ কয়েকবার কিরক শলটিস সিনিয়রের সাক্ষাৎকার নিয়েছিল। তিনি জানান, পেইসলি সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না।
এ ঘটনায় পেইসলির মা কুপার, বাবা কিরক শলটিস জুনিয়র ও দাদা কিরক শলটিস সিনিয়রকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পেইসলিকে গুম করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এখন তাদের বিচার চলছে।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ জে এফ জয়