মেয়েদের বিশ্বকাপ ফুটবল: ব্রাজিলকে হারিয়ে আশা বাঁচিয়ে রাখল ফ্রান্স
দুই দল ছিল দুই মেরুতে দাঁড়িয়ে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে পানামাকে ৪-০ ব্যবধানে উড়িয়ে রীতিমতো উড়ছিল ব্রাজিল। আর জ্যামাইকার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল ফ্রান্সের।
শিরোপা জয়ের প্রত্যাশা নিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া ফরাসি মেয়েদের আজ আরেকটি অপ্রত্যাশিত ফল সঙ্গী হলেই গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় প্রায় নিশ্চিত হতো। তবে সেটা হতে দেননি অধিনায়ক ওয়েঁদি রেনার। ৮৩ মিনিটে তাঁর গোলেই ব্রাজিলকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে ফ্রান্স। এ জয়ে নকআউট পর্বে খেলার আশা-ই শুধু বেঁচে রয়নি, ‘এফ’ গ্রুপের শীর্ষেও উঠে গেছে ফরাসি মেয়েরা। দুই ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৪, ব্রাজিলের ৩। গ্রুপের অন্য দুই দল জ্যামাইকা ও পানামা।
ব্রিসবেনের সানকর্প স্টেডিয়ামে হাইভোল্টেজ ম্যাচটি দেখতে এসেছিলেন প্রায় ৫০ হাজার দর্শক। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে দর্শকদের উপভোগ্য এক ম্যাচই উপহার দিয়েছে ব্রাজিল ও ফ্রান্স।
১৭ মিনিটে অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার ইউজিনি লা সোমারের গোলে এগিয়ে যায় ফরাসি মেয়েরা। জাতীয় দলের হয়ে এটি লা সোমারের ৯০তম গোল। প্রথমার্ধে প্রায় পুরোটা সময় ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্সকে ব্যতিব্যস্ত রাখেন তিনি ও কাদিদিয়াতু দিয়ানি।
বিরতির পর সমতা আনে ব্রাজিল। ৫৮ মিনিটে গোল করে ব্রাজিলকে ম্যাচে ফেরান দেবিনিয়া। জটলার মধ্যে কেরোলিনের জোরালো শট প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে দেবিনিয়ার কাছে আসে। দারুণ দক্ষতায় বলের নিয়ন্ত্রণ নেন ৩১ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। তাঁর সামনে ছিলেন শুধু গোলরক্ষক পেইরা মাগনঁ। তাঁকে বোকা বানাতে ভুল করেননি দেবিনিয়া।
তবে ব্রাজিলিয়ান মেয়েদের এ আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। জয়সূচক গোলের জন্য হন্যে হয়ে ওঠে ফ্রান্স। ৮৩ মিনিটে সাফল্যের দেখাও পেয়ে যায়। কর্নার থেকে সেলমা বাচার বাঁকানো শটে বল পেয়ে যান অরক্ষিত রেনার। দারুণ হেডে ব্রাজিলকে হতাশায় ডোবান ফরাসি অধিনায়ক।
দ্বিতীয়বার পিছিয়ে পড়ার পর কিংবদন্তি মার্তাকে নামান ব্রাজিল কোচ পিয়া সুন্ধাগে। কিন্তু লাভ হয়নি। শেষ দিকে বরং উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেন ফরাসি কোচ হার্ভি রেনার। যোগ করা সময় পেরিয়ে গেলেও রেফারি খেলা চালিয়ে যাওয়ায় ফিফার প্রতিনিধিদের সঙ্গে তর্কে জড়ান কাতার বিশ্বকাপে সৌদি আরবের কোচ হিসেবে আর্জেন্টিনাকে হারানো রেনার। ৯৮ মিনিটে রেফারি ব্রাজিলকে ফ্রি কিক নেওয়ার সুযোগ দিলে আরও ক্ষুব্ধ হন এই কোচ। তবে রেফারি শেষ বাঁশি বাজানোর পর তাঁর মুখে হাসি ফুটেছে। যে হাসি স্বস্তিরও।
ক্রীড়া ডেস্ক