মিরাজ জাদুতে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশের

রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন ভেসে যায় বৃষ্টিতে। দ্বিতীয় দিনের প্রথম ইনিংস নিজেদের করে নেয় পাকিস্তান। তবে পরের দুই সেশনে আধিপত্য দেখান টাইগার বোলাররা। যেখানে বল হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন মেহেদী হসান মিরাজ। তার ফাইফারে ২৭৪ রানে অলআউট যায় পাকিস্তান। এরপর ব্যাট করতে নেমে দেখে শুনে খেলে কোনও উইকেট না হারিয়ে ১০ রানে দিনের বাকিটা সময় পার করে টাইগাররা। তাতে পাকিস্তানের চেয়ে ২৬৪ রানে পিছিয়ে আছে সাকিব-লিটনরা। 

শেষ বিকালে মাত্র ২ ওভার ব্যাট করার সুযোগ্ম পায় বাংলাদেশ। কোনো উইকেট না হারিয়ে ১০ রান সংগ্রহ করে দিন শেষ করেন দুই ওপেনার জাকির হাসান ও সাদমান ইসলাম। ৯ বলে ৬ রানে অপরাজিত আছেন সাদমান।

আজ টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। বৃষ্টির কারণে চারদিনে নেমে আসা ম্যাচে টাইগাররা শুরুটা পায় দারুণ। ইনিংসের প্রথম ওভারে বোলিংয়ে এসে পাকিস্তান ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিককে সাজঘরে ফেরান ১৪ মাস পর সাদা পোশাকে ফেরা তাসকিন। স্কোরবোর্ড রান যোগ করার আগেই ফিরে যান এই ওপেনার।

এরপর ২২ গজে আসা পাকিস্তান অধিনায়ক শান মাসুদকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেবার চেষ্টা করেম সায়েম আয়ুব। দেখেশুনে ব্যাট করতে থাকেন এই দুই ব্যাটার। তবে সময়ের সঙ্গে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন তারা।
টাইগার বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে ৫৫ বলে ফিফটি তুলে নেন শান মাসুদ। আর কোনো উইকেট না হারিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় পাকিস্তান।

তবে বিরতি থেকে ফিরেই মিরাজের ঘূর্ণিতে সাজঘরে ফিরে যান পাক অধিনায়ক। দলীয় ১০৭ রানে ৬৯ বলে ৫৭ রান করে আউট হন মাসুদ। তার বিদায়ের পর ফিফটি তুলে নেন আয়ুব। এরপর তাকেও সাজঘরের পথ দেখা মিরাজ। মিরাজের জোড়া আঘাতের পর সৌদ শাকিলকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন বাবর আজম।

কিন্তু দলীয় ১৫৪ রানে পাকিস্তান শিবিরে ফের আঘাত হানেন তাসকিন। ২৮ বলে ১৬ রান করা শাকিলকে আউট করেন এই টাইগার পেসার।এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর মিলে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। তবে তাদের সেই প্রতিরোধ ভেঙে দেন সাকিব আল হাসান।

পাকিস্তানের স্কোরবোর্ডে ১৭৯ হতেই ৭৭ বলে ৩১ রান করে আউট হন বাবর। এরপর বাইশ গজে নামা আঘা সালমানকে নিয়ে দেখে শুনে ব্যাট করতে থাকেন রিজওয়ান। কিন্ত দলীয় ২১১ রানে ২৯ রানে আউট হন রিজওয়ান। এরপর দ্রুতই আরও দুই উইকেট তুলে নেন টাইগার বোলাররা। একপ্রান্তে উইকেট হারালেও অন্যপ্রান্তে আগলে রেখে ফিফটি তুলে নেন সালমান।

তবে নিজের অর্ধশতকের পরই পরই সালমানকে সাজঘরে ফেরান তাসকিন। ৫৪ রান করে আউট হন তিনি। শেষ ব্যাটার হিসেবে আবরার আহমেদকে আউট করেন মিরাজ। সেইসঙ্গে নিজের ৫ উইকেট পূর্ণ করেন এই স্পিনার। তাতে দ্বিতীয় টেস্টে প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রানে অলআট হয় শান মাসুদের দল। বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ পাঁচটি উইকেট নেন মেহেদী মিরাজ।