মার্চে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট চালু করতে চায় সরকার
নিরাপত্তার আন্তর্জাতিক সকল শর্ত পূরণ করেই নির্মাণ হয়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে, ২০২৫ সালের মার্চেই প্রথম ইউনিটে পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চায় সরকার। এমনটি জানিয়েছেন অর্থ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পাবনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলার সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিয়ম শেষে তিনি এ তথ্য জানান। এর আগে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞ দলকে সঙ্গে নিয়ে উপদেষ্টা রূপপুর প্রকল্প ঘুরে দেখেন।
রূপপুরের নিরাপত্তায় সন্তোষ প্রকাশ করে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, পরমাণু নিরাপত্তায় সর্বাধুনিক পদ্ধতি মেনেই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে, আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এর ইতিবাচক প্রভাব দেশের কাজে লাগাতে চাই।
প্রকল্পের দীর্ঘসূত্রিতায় সুদের কারণে ব্যয় বৃদ্ধিকেও স্বাভাবিক মন্তব্য করে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বড় প্রকল্প হিসেবে যেটুকু মেয়াদ বেড়েছে তা খুব বেশি নয়, সুদের বিষয়ে রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতার সুযোগ রয়েছে।
সঞ্চালন লাইন নির্মাণে ভারতের প্রতিষ্ঠান সম্পৃক্ত থাকায় চলমান সম্পর্কের প্রভাবে কাজে ব্যাঘাত ঘটবে কিনা জানতে চাইলে উপদেষ্টা তা নাকচ করে দিয়ে বলেন, বন্যার কারণে নদীর মধ্যে সঞ্চালন লাইন নির্মাণের কাজ বন্ধ ছিল। এখন তা আবারও শুরু হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান কোনো অসুবিধার কথা জানায়নি। দ্রুত সময়ে কাজ শেষ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিগত সরকার পনের বছরে রাষ্ট্রের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ধ্বংস করেছে মন্তব্য করে মতবিনিময় সভায় সরকারি কর্মকর্তাদের স্বচ্ছতা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করার নির্দেশনা দেন।
এ সময় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোকাব্বির হোসেন, পাবনা জেলা প্রশাসক মফিজুল হক, পুলিশ সুপার মোর্তজা আলীসহ সকল সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।