মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গাজার প্রভাব, জয়ে ফ্যাক্টর মুসলিমরা
এক বছরের বেশি সময় ধরে চলমান গাজা যুদ্ধ বেশ প্রভাব ফেলতে যাচ্ছে আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে। ইসরায়েলি গণহত্যায় সহায়তা করার অভিযোগে এর আগে ডেমোক্রেট দলের সাবেক প্রার্থী জো বাইডেনের ওপর সমর্থন কমিয়ে এনেছিলেন আরব-আমেরিকান ভোটাররা। তবে এই অবস্থানের সুযোগ পাবে না বিরোধী দল রিপাবলিকানরাও।
অন্যদিকে প্রার্থী পাল্টালেও আরব-আমেরিকান ভোটারদের আকৃষ্ট করতে পারছে না ডেমোক্রেটরা। বরং এবারের নির্বাচনে ট্রাম্প কিংবা কমলা হ্যারিস কারো প্রতিই সমর্থন জানাচ্ছে না আরব বংশোদ্ভূত মার্কিন ভোটাররা। এমন তথ্য জানা যায় বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে।
সোমবার এক বিবৃতিতে দ্য আরব আমেরিকান পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি জানায়, এবারের নির্বাচনে তারা গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলি গণহত্যার অন্ধ সমর্থনকারী হিসেবে ডেমোক্রেটিক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান দলের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কারো প্রতিই সমর্থন জানাবেন না। ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংগঠনটি বেশিরভাগ সময়েই ডেমোক্রেট প্রার্থীদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে আসছিল।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আরব-আমেরিকান ও মার্কিন মুসলিম ভোটারদের মধ্যে ট্রাম্পের গ্রহণযোগ্যতা আগে থেকেই কম ছিল। বিশেষ করে বিভিন্ন মুসলিম দেশ থেকে আমেরিকায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পদক্ষেপ ভোটারদের উত্তেজিত করে তুলেছিল। এ ছাড়া ট্রাম্প প্রশাসক কর্তৃক জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরও মুসলিম ভোটারদের অপছন্দের অন্যতম কারণ।
অন্যদিকে মুসলিম ভোট ছাড়া কমলা হ্যারিসের এবারের নির্বাচনে ইতিহাস গড়ার সম্ভাবনা বেশ হুমকির মুখে পড়বে, যদি মার্কিন মুসলিমরা ডেমোক্রেট পার্টিকে ভোট না দেয় অথবা তৃতীয় কোনো প্রার্থীকে বেছে নেয়।