November 22, 2025
আন্তর্জাতিক

মামদানিকে প্রশংসায় ভাসালেন ট্রাম্প

নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের প্রধান শহর নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী জোহরান মামদানির ব্যাপক প্রশংসা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিউইয়র্কের মেয়র হিসেবে তিনি ভাল কাজ দেখাবেন বলেও প্রত্যাশা করেছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ও দপ্তর হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে গতকাল শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ ঘটে মামদানির। সাক্ষাতের পর মামদানির ব্যাপারে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, “আমি আপনাদের বলতে পারি যে (মামদানি ইস্যুতে) আমার দৃষ্টিভঙ্গিতে কিছু পরিবর্তন এসেছে। এখন আমার দৃঢ় বিশ্বাস (নিউইয়র্কের মেয়র হিসেবে) মামদানি তার দায়িত্বগুলো খুব ভালোভাবে সম্পাদন করতে পারবেন। এমনকি আমি এ-ও মনে করি যে তিনি তার কাজ, পারফরম্যান্স দিয়ে অনেক রক্ষণশীল লোকজনকে চমকে দেবেন।” গত ৫ নভেম্বর রীতিমতো ইতিহাস গড়ে যুক্তরাষ্ট্রের মেয়র নির্বাচনে জয়ী হন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জোহরান মামদানি। মোট ভোটের ৫০ শতাংশ পেয়ে এই জয় নিশ্চিত করেছেন তিনি। আগামী ১ জানুয়ারি নিউইয়র্কের মেয়রের শপথ নেবেন মামদানি। শপথ গ্রহণের পর ৩৪ বছর বয়সী মামদানি হবেন নিউইয়র্কের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী এবং প্রথম মুসলিম মেয়র। নির্বাচনের সময় অবশ্য জোহরান মামদানিকে আটকাতে যথেষ্ট চেষ্টা করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। ট্রাম্প নিজে মামদানিকে ‘কমিউনিস্ট উন্মাদ’ আখ্যা দিয়ে বলেছিলেন, মামদানি নির্বাচিত হলে নিউইয়র্কের জন্য বরাদ্দ সরকারি অর্থ আটকে দেবেন তিনি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস জানিয়েছে, মামদানির বিরুদ্ধে প্রচার-প্রচারণাবাবদ ২৪০ কোটি ডলার ব্যয় করেছে ট্রাম্প প্রশাসন এবং তার দল রিপাবলিকান পার্টি। তবে শুক্রবারের সাক্ষাৎ এবং বৈঠকের পর ট্রাম্পের মধ্যে আগের সেই মনোভাবের লেশমাত্র উপাস্থিতি দেখা যায়নি। সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেছেন, “বিভিন্ন ইস্যুতে আমি যতটা প্রত্যাশা করেছিলাম, তার চেয়েও অনেক বেশি একমত হয়েছি আমরা। একটা ব্যাপার কমন আছে আমাদের মধ্যে, আর তা হালো আমরা দু’জনই নিউইয়র্ক সিটিকে ভালবাসি এবং উভয়েই এই শহরের সর্বাঙ্গীন উন্নতি চাই।” ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশে মামদানি বলেন, “আমরা নিউইয়র্ক সিটি এবং সেখানকার বাসিন্দাদের বিভিন্ন ইস্যু ও সমস্যা নিয়ে কথা বলেছি। এটা ছিল একটি ফলপ্রসূ, শ্রদ্ধা ও ভালবাসাপূর্ণ বৈঠক।”
শেয়ার করুন: