September 20, 2024
জাতীয়লেটেস্টশীর্ষ সংবাদ

মানিককে ঢাকায় এনে ফের গ্রেপ্তার

ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের চেষ্টায় সিলেটের কানাইঘাট থানায় হওয়া মামলায় জামিন পাওয়া সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় এনে আবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন র‍্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইং পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনিম ফেরদৌস।

তিনি বলেন, বিচারপতি মানিককে সিলেট থেকে ঢাকায় আনা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে তেজগাঁও পুরান বিমানবন্দরে তাকে বহন করা র‍্যাবের হেলিকপ্টার অবতরণ করে। ঢাকা মহানগর পুলিশে তাকে সোপর্দ করা হয়েছে।

এর আগে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে র‌্যাবের একটি হেলিকপ্টারে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।

পুলিশ সূত্র জানায়, বিকেল ৪টার দিকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সাবেক বিচারপতি মানিককে জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে কারা কর্তৃপক্ষ। পরে সেখান থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। সেখান থেকে তাকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি ৪টা ৪০ মিনিটে ঢাকার তেজগাঁও পুরোনো বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওয়ানা করে। তাকে কেরানীগঞ্জে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়ার কথা রয়েছে। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকার আদালতে একটি মামলায় তাকে হাজির করা হতে পারে।

এর আগে সকালে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার মামলায় সিলেটের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক অঞ্জন কান্তি দাস তার জামিন মঞ্জুর করেন। তবে দেশের বিভিন্ন স্থানে হত্যাসহ একাধিক মামলায় আদালত থেকে তাকে ফের কারাগারে পাঠানো হয়। পরে কারাগার থেকে ঢাকার উদ্দেশে পাঠানো হয়।

প্রসঙ্গত, গত ২৩ আগস্ট রাতে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ডোনা সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে একটি জঙ্গল থেকে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের সহায়তায় আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পরদিন ২৪ আগস্ট সকালে তাকে কানাইঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে পুলিশ তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে। পরে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপরে পাসপোর্ট আইনে মানিকের বিরুদ্ধে কানাইঘাট থানায় মামলা হয়।

গত ২৪ আগস্ট সিলেট আদালতে ঢোকার সময় আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষুব্ধ জনতা শামসুদ্দিন মানিককে কিল-ঘুষি-লাথি মারেন। এ সময় তিনি গুরুতর আঘাত পান। আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার শরীরে অস্ত্রোপচার করা হয়। ১২ সেপ্টেম্বর তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে ছাড়পত্র দেয় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে কড়া নিরাপত্তা ও সতর্কতার সঙ্গে হাসপাতাল থেকে তাকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়।

শেয়ার করুন: