মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। এছাড়া দেশটির সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারি করেছে আইসিসি।
ইসরায়েয়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল নেতানিয়াহু ও এবং গ্যালান্টের বিরুদ্ধে এই পরোয়ানাকে ‘লিগ্যাল বোম্বশেল’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, আইসিসির প্রাক-বিচার চেম্বার ১ এর তিন বিচারক সর্বসম্মতিক্রমে এই পরোয়ানা জারি করেছেন। আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি করিম খান গত মে মাসে নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টকে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারের অনুরোধ জানিয়েছিলেন।
দখলদার ইসরায়েল করিম খানের এই অনুরোধের বৈধতা নিয়ে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল। তবে আইসিসির বিচারকরা ইসরায়েলের চ্যালেঞ্জ প্রত্যাখ্যান করে নেতানিয়াহু ও তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেছে।
আইসিসি জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধ ঘটানোর অভিযোগে এই দুইজনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। বিবৃতিতে আদালত বলেছে, ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর থেকে অন্তত ২০২৪ সালের ২০ মে পর্যন্ত মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধ করায় বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হলো।
বিবৃতিতে আইসিসি আরও বলেছে, নেতানিয়াহু ও গ্যালান্ট ইচ্ছা করে ও জেনেশুনে গাজার বেসামরিক মানুষকে বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য জিনিসপত্র ও সেবা- যেমন খাবার, পানি, ওষুধ, চিকিৎসা সেবা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি থেকে বঞ্চিত করেছেন- এমন অভিযোগ বিশ্বাসের যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
তবে শুধু ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীই নয়, ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। যদিও গত জুলাইয়ে দেইফকে হত্যার দাবি জানায় ইসরায়েল।