মাদকবিরোধী কার্যক্রমে সেপ্টেম্বরকে বিশেষ মাস ঘোষণা কারা অধিদপ্তরের
বর্তমান বিশ্বে মাদকের ভয়াবহতা প্রকট রূপ ধারণ করেছে। বাংলাদেশের বর্তমান আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটেও মাদকের প্রভাব সর্বগ্রাসীরূপ ধারণ করছে এবং তা উদ্বেগজনক হারে বেড়ে চলেছে। দেশের কারাগারগুলোও এই ক্ষতিকর প্রভাবের বাইরে নয়।
এই প্রেক্ষাপটে কারা অধিদপ্তর ‘সেপ্টেম্বর মাসকে’ মাদকবিরোধী কার্যক্রমের মাস হিসেবে চিহ্নিত করে অভিযান পরিচালনা শুরু করেছে। মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছে এবং এর অংশ হিসেবে কারা এলাকায় মাদক নির্মূলে স্থানীয় কারা প্রশাসন, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন এবং মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহায়তায় নানাবিধ কার্যক্রম গ্রহণ করছে।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কারা অধিদপ্তরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) আবুল বাশার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে আগত দর্শনার্থী ও কারাভ্যন্তরে প্রবেশকালে সব বন্দি এবং কারা কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বিশেষ তল্লাশি এবং কারারক্ষী, বন্দি, আগত দর্শনার্থীদের জন্য মাদকবিরোধী সচেতনতামূলক কার্যক্রম। এছাড়া এ কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে সম্প্রতি কারা অধিদপ্তর নিজস্ব ডোপ টেস্টের মাধ্যমে সন্দেহভাজন কারা বন্দি/কর্মচারীদের ডোপ টেস্ট করার উদ্যোগ নিয়েছে, যাতে সম্ভাব্য মাদক সেবীদের চিহ্নিত করে তাদের অধিকতর নজরদারি এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থার আওতায় আনা যায়।
‘রাখিব নিরাপদ দেখাবো আলোর পথ’ এই মূলমন্ত্রকে সামনে রেখে দেশের কারাগারগুলোতে আগত সমাজের বিপথগামী লোকদের নানাবিধ কার্যক্রমের মাধ্যমে সংশোধন করা এবং বর্তমান যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সঠিক প্রশিক্ষণ প্রদান করে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে সমাজে পুনর্বাসন করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ জেল নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।