মাছ আমদানি সংগঠনের শঙ্কা: ভারতে যেতে পারে মাত্র ২৫০ টন ইলিশ
বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আসছে— এমন খবর শুনে খুশি হয়েছিলেন ভারতের কলকাতার বাসিন্দারা। তবে তাদের এই আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী নাও হতে পারে বলে জানিয়েছেন দেশটির মাছ আমদানিকারকরা। তাদের শঙ্কা, বাংলাদেশ প্রায় আড়াই হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিলেও; তার খুব সামান্যই কলকাতার বাজারে আসতে পারে।
কারণ বাংলাদেশেই এখন ইলিশ খুব বেশি ধরা পড়ছে না। এরপর আবার আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ইলিশ ধরা ও বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা শুরু হবে। ফলে জেলেরা ইলিশ ধরার জন্য আর মাত্র ১৫ দিন সময় পাবেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেশটির মাছ আমদানি সংগঠনের সেক্রেটারি সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ বলেছেন, “বাংলাদেশের মাছের ঘাটগুলোতে খুবই কম ইলিশ আসছে। যেহেতু ১২ অক্টোবর থেকে মাছ ধরা নিষিদ্ধ হচ্ছে। তার মানে ইলিশ বানিজ্য করা যাবে আর মাত্র ১৫ দিন। গত বছর আমরা এক মাস বানিজ্য করে ৫৮৭ টন ইলিশ পেয়েছিলাম। অথচ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল ৩ হাজার ৯৫০ টন ইলিশ। এবার যে আড়াই হাজার টন মাছ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে সেটির ১০ ভাগের ১ ভাগ আসতে পারে।”
কম মাছ আসা মানে কলকাতায় এবার ইলিশের দাম চড়া থাকবে। হাওড়ার পাইকারি বাজারে এক কেজি বাংলাদেশি ইলিশ কিনতে খরচ পড়বে ১ হাজার ৫০০ রুপি। আর খুচরা বাজারে ১ কেজির একটি রুপালি মাছ কিনতে লাগবে ১ হাজার ৮০০ থেকে ২০০০ রুপি। আর দেড় কেজির যেসব মাছ রয়েছে সেগুলোর দাম গত বছরের তুলনায় অন্তত ২০ শতাংশ বেশি পড়বে।
ভারতের মাছ আমদানিকারক সংগঠনের সেক্রেটারি জানিয়েছে, তিনি বাংলাদেশ সরকারের কাছে চিঠি দেবেন যেন ইলিশ বানিজ্যের মেয়াদ আরও ১৫ দিন বাড়িতে ১ মাস করা হয়।