মাংস খাওয়ার আটটি টিপস
মানুষ মাংশাসি প্রাণী নয়, কিন্তু রান্না করা মাংসের প্রতি মানুষের একটি দূর্বলতা রয়েছে। অনেকে মাছমাংস ধর্মীয় কারণে খাওয়া থেকে দূরে থাকেন, আবার অনেকে ভেজিটেরিয়ান, তারা মাছমাংস পছন্দ করেন না। কিন্তু এর বাইরে খুব কম মানুষ পাওয়া যাবে যাদের মাংসের প্রতি দূর্বলতা নেই।
বিশেষ করে ঈদ বা এরকম কোনো পার্বণে, যেকোনোভাবেই হোক, বেশ খানিকটা মাংস খাওয়া হয়ে যায়। যাঁরা স্বাস্থ্যের কথা ভেবে মাংস খাওয়া এড়িয়ে চলেন, তাঁরাও এই সময় একটু–আধটু মাংস খান। তাই এই মাংসটা কীভাবে স্বাস্থ্যকর উপায়ে খাওয়া যায়, চলুন সেটা জেনে নিই।
১. চর্বি যথাসম্ভব রান্নার আগেই আলাদা করে ফেলতে হবে।
২. মাংসের ঝোলে অপেক্ষাকৃত বেশি জমা থাকে সব মেদ বহনকারী উপাদান। তাই যথাসম্ভব ঝোল পরিহার করতে হবে খাওয়ার সময়।
৩. গরু কিংবা খাসি ভুনা খাওয়ার চেয়ে হালকা তেলে যেকোনো রেসিপি চেখে দেখতে পারেন। সালাদ কিংবা হালকা তেলে ভেজে নেয়া মাংস দিয়েই করা যেতে পারে উদরপূর্তি।
৪. মগজ ও কলিজা যথাসম্ভব পরিহার করা যেতে পারে।
৫. মাংসে বেশি চর্বি থাকলে প্রথমে গরম পানিতে মাংস সেদ্ধ করে নিন, এরপর চর্বি পানিতে গলে গেলে ভালোভাবে ছেঁকে নিয়ে রান্না করতে হবে।
৬. মাংসে টেস্টিং সল্ট, সস এসব উপকরণ ক্ষতিকর দিকটা আরো বাড়িয়ে দেয়। তাই এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে; এসব যথাসম্ভব পরিহার করাই উত্তম।
৭. মাংসের মধ্যে লাউ বা এ জাতীয় অন্যান্য সবজি মিশিয়ে রান্না করা যেতে পারে। এতে মাংসের ক্ষতিকর উপাদান কমে যাবে। আবহমান কাল হতে মুনি ঋষিগণ এভাবে মাংস খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
৮. মাংস সম্ভব হলে চুই ঝাল, লেবু, ক্যাপসিক্যাম বা টমেটো এর যে কোনো একটা দিয়ে রান্না করা যেতে পারে। এতে হজমে সহায়তা হবে। অন্যদিকে, মাংস খাওয়ার পর টক দই বা বোরহানি জাতীয় কোনো কিছু খাওয়া যেতে পারে।
স্বাস্থ সকল সুখের মূল। অর্থ বিত্ত বৈভবে সুখ নেই। প্রকৃত সুখ আছে সুস্থতার মধ্যে। আসুন সুখি থাকার জন্য স্বাস্থবান হওয়ার সংগ্রাম শুরু করি।