ভারত বিশ্বকাপে ক্রিকেটারদের টাকা না দেওয়া নিয়ে যা বলছে বিসিবি
২০২৩ বিশ্বকাপে ভরাডুবি হয় বাংলাদেশের। নয় ম্যাচের মাত্র দুটিতে জিতে অষ্টম হয়ে লিগ পর্ব শেষ করে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন দল। অথচ বড় স্বপ্ন নিয়েই ওয়ানডে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসরে খেলতে গিয়েছিল তারা। এমন হতাশাজনক পারফরম্যান্সের কারণে অনেক সমালোচনার মুখে পড়েছিল টাইগাররা। এদিকে সেই বিশ্বকাপ নিয়ে ফের বির্তকের মুখে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
ভারত বিশ্বকাপের আগে থেকেই বিসিবিতে চলে তামিম-সাকিব ও হাথুরুকে নিয়ে বির্তক। সেই সব কিছু অতীত হলেও নতুন করে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের এক ইস্যু বির্তকে বিসিবি। ভারত বিশ্বকাপ শেষ হবার আট মাস চলে গেলেও ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাওনা টাকা এখনো ক্রিকেটারদের মধ্যে বণ্টন করেনি বিসিবি।
আজ রবিবার (১১ আগস্ট) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এমনটিই দাবি করেছেন ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)’র সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল।
ওয়ানডে বিশ্বকাপের পাওনা টাকার প্রসঙ্গে দেবব্রত বলেন, ‘ক্রিকেট অপারেশন্স এখন যেটা আছে ক্রিকেটারদের। আপনারা কি জানেন ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ হয়েছিল ভারতে। সেই ওয়ানডে বিশ্বকাপের টাকা আইসিসির সঙ্গে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের যে চুক্তি থাকে ৫০ দিনের মধ্যে টাকা দেওয়ার কথা। এটা খেলোয়াড়দের মধ্যে বণ্টন হয় সেই টাকা এখনো পর্যন্ত খেলোয়াড়দের দেওয়া হয়নি। এই যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও কিন্তু ১৪ দিন চলে গেছে আপনারা জিনিসগুলো বুঝবেন।’
এসব অভিযোগ নিয়ে দেশের একটি পত্রিকাকে বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘টাকাই তো এখনো পাঠায়নি। টাকা একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে পাঠায়। শ্রীলঙ্কা যেমন গত মাসে পেয়েছে। ট্যাক্স ডিডাকশন, কিছু ফাইন্যান্সিয়াল কমপ্লায়েন্স আছে। প্রাইজমানি পেতে ওখানে (ভারতে) চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট ফার্ম পর্যন্ত নিয়োগ দিতে হয়েছে। আর্থিক লেনদেনের প্রক্রিয়া একেক দেশে একেকরকম। যাদের সঙ্গে প্রক্রিয়াটা মসৃণ সেসব সদস্য দেশ আগে টাকা পেয়েছে। যাদের একটু জটিল, তাদের এই প্রক্রিয়া মেনে পেতে হচ্ছে। এটার মানে এই নয় নয় এটা ক্রিকেট বোর্ড আটকে রেখেছে।’