ভারতে মুসলিমদের দুর্দশা নিয়ে সরব ইরান, ক্ষুব্ধ মোদি সরকার
ভারতে সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়সহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতনের অভিযোগ বেশ পুরোনো। দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটি অতীতে বহুবারই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এই ধরনের অভিযোগের সম্মুখীন হয়েছে।
আর এবার ভারতে মুসলিমদের দুর্দশা নিয়ে সরব হয়েছে ইরান। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেছেন, আমরা যদি ভারতসহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে মুসলিমদের দুঃখ-কষ্টের প্রতি উদাসীন থাকি, তাহলে আমরা নিজেদেরকে মুসলমান ভাবতে পারি না।
তার এই বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়েছে ভারত। এমনকি ইরানের সর্বোচ্চ নেতার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে এটিকে “অগ্রহণযোগ্য” বলেও দাবি করেছে দেশটির মোদি সরকার। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
ভারত বলেছে, ভারতীয় মুসলমানদের সম্পর্কে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির মন্তব্য “অগ্রহণযোগ্য”। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী — মহানবী হজরত মুহাম্মদ সা.-এর জন্মদিন — উপলক্ষ্যে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ইরানি নেতা গাজার মুসলমানদের পাশাপাশি ভারতীয় মুসলমানদের দুর্দশা-যন্ত্রণা নিয়ে বার্তা দেন।
জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা ইরানের সর্বোচ্চ নেতার ভারতে সংখ্যালঘুদের বিষয়ে করা মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাই।’
এর আগে সোমবার এক্সে দেওয়া পোস্টে আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেন: “আমরা যদি মিয়ানমার, গাজা, ভারত বা অন্য যেকোনও জায়গায় মুসলমানের দুর্দশা সহ্য করে সে সম্পর্কে আমরা উদাসীন থাকি তবে আমরা নিজেদেরকে মুসলিম হিসাবে বিবেচনা করতে পারি না।”
তিনি আরও বলেন, “ইসলামের শত্রুরা সর্বদাই ইসলামিক উম্মাহ হিসেবে আমাদের অভিন্ন পরিচয়ের ব্যাপারে আমাদের উদাসীন করার চেষ্টা করেছে।”
এনডিটিভি বলছে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির এই মন্তব্য এমন এক সময়ে সামনে এসেছে যখন ইরান এবং ইসরায়েলের মধ্যে শত্রুতা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এটি এমন এক পরিস্থিতি যা নয়াদিল্লিতেও অস্বস্তি সৃষ্টি করেছে।
কারণ ভারতের সঙ্গে উভয় দেশেরই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। ভারতের ৮০ শতাংশ তেল পশ্চিম এশিয়া থেকে আসলেও ইসরায়েলের সাথে নয়াদিল্লির কৌশলগত সম্পর্ক — বিশেষ করে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে — সম্পর্ক ক্রমেই বিকশিত হচ্ছে।