October 27, 2025
খেলাধুলা

ব্যাটারদের ব্যর্থতায় হারে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু বাংলাদেশের

প্রথম ছয় ব্যাটারের মধ্যে রান পেলেন কেবল তাওহিদ হৃদয়। সেটাও খুব ভালো স্ট্রাইকরেটে নয়। টপ আর মিডল অর্ডার ব্যাটারদের রীতিমত লজ্জা দিলেন বোলাররা। তানজিম হাসান সাকিব, নাসুম আহমেদরা যেমন ব্যাটিং করলেন; বোঝাই গেলো একটু দেখেশুনে খেললে এই উইকেটে ১৬৬ রান তাড়া করা কোনো ব্যাপারই ছিল না। চট্টগ্রামে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ১৬ রানের হারে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হলো বাংলাদেশের। তিন ম্যাচের সিরিজে লিটন দাসের দল পিছিয়ে গেলো ১-০ ব্যবধানে। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৬৫ রান করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে ১৯.৪ ওভারে ১৪৯ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। তানজিদ হাসান তামিম শুরু করেছিলেন ছক্কা দিয়ে। তবে ভালো খেলতে খেলতে আউট হয়ে যাওয়ার অভ্যাস থেকে বের হতে পারেননি। ৫ বলে ১৫ করে জেডেন সিলসের বলে পুল করে মিডঅনে ক্যাচ দিয়ে আসেন তামিম। লিটন দাস-সাইফ হাসানও সুবিধা করতে পারেননি। ৮ বলে ৫ করে আকিল হোসেনকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সাইফও করেন ৭ বলে ৮। আকিলেরই বলে সু্ইপ করে ফাইন লেগে ধরা পড়েন তিনি। এরপর শামীম হোসেন পাটোয়ারী (১) বোল্ড হন জেসন হোল্ডারের বলে। পাওয়ার প্লেতেই ৪১ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। উইকেট পতনের সেই মিছিল থামেনি। ক্যারিবীয় স্পিনার খারি পিয়েরেকে স্টাম্প ছেড়ে খেলতে গিয়ে বোল্ড হন নুরুল হাসান সোহান (১০ বলে ৫)। তাওহিদ হৃদয় করেন ২৫ বলে ২৮। ৭৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে পরাজয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের। সেখান থেকে লোয়ার অর্ডারের তানজিম হাসান সাকিব আর নাসুম আহমেদ হাল ধরেন। সপ্তম উইকেটে ২৩ বলে ৪০ রানের ঝোড়ো একটি জুটি গড়ে আশাও জাগিয়েছিলেন তারা। ২৭ বলে ৩ চার আর ১ ছক্কায় ৩৩ করে হোল্ডারের বলে মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ হন তানজিম সাকিব। ১২ বলে ৩ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ২০ রান করেন নাসুম। এরপরই সব আশা শেষ হয়ে যায়। রিশাদ ৩ বলে ৬ করে ফেরেন। শেষদিকে তাসকিন ৮ বলে ১০ আর মোস্তাফিজ ৮ বলে করেন ১১ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জেডেন সিলস ৩২ রানে শিকার করেন ৩টি উইকেট। এর আগে শেষ ওভারে রভম্যান পাওয়েল হাঁকালেন তিন ছক্কা। শেষ ৫ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুললো ৬৪ রান। শেষের এই ঝড়েই ৩ উইকেটে ১৬৫ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ দাঁড় করিয়ে ফেলে সফরকারীরা। চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। স্পিন দিয়েই আক্রমণ শুরু করে বাংলাদেশ। নাসুম আহমেদ প্রথম ওভারে দেন মাত্র ৩ রান। পরের ওভারে তাসকিন আহমেদও ৩ রানের বেশি খরচ করেননি। তবে চতুর্থ ওভারে তাসকিন দিয়ে বসেন ১৭ রান। নাহলে পাওয়ার প্লেতে আরও কম রান হতো। মোস্তাফিজুর রহমান পঞ্চম ওভারে ৪ আর নাসুম আহমেদ ষষ্ঠ ওভারে খরচ করেন মাত্র ১ রান। পাওয়ার প্লেতে রান তুলতে না পারায় পরে চড়াও হন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার। অবশেষে সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে উইকেট তুলে নেন রিশাদ হোসেন। ইনিংসের নবম ওভারে রিশাদকে রিভার্স সুইপ খেলতে গেলে বল গায়ে লেগে বোল্ড হন অলিক আথানেজে (২৭ বলে ৩৪)। ১৩তম ওভারে জোড়া আঘাত হানেন তাসকিন আহমেদ। টানা দুই বলে ফেরান ব্রেন্ডন কিং (৩৬ বলে ৩৩) আর শেরফান রাদারফোর্ডকে (০)। তবে উইকেট নিলেও বোলিংয়ে তেমন নিয়ন্ত্রণ ছিল না এই পেসারের। শেষ ওভারে তানজিম হাসান সাকিবকে বেদম পেটান রভম্যান পাওয়েল। হাঁকান তিন ছক্কা। ওই ওভারেই আসে ২২ রান। ২৮ বলে ১ চার আর ৪ ছক্কায় ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন পাওয়েল। সমান বলে সমান চার-ছক্কায় হার না মানা ৪৬ করেন শাই হোপ। তাসকিন ২ উইকেট পেলেও খরচ করেন ৩৬ রান। তানজিম সাকিব ৪ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। রিশাদ ১ উইকেট নিতে খরচ করেন ৪০ রান।
শেয়ার করুন: