বৃষ্টিতেই ভেসে গেল বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ
বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের ওয়ানডে সিরিজ যেন দর্শকদের এশিয়া কাপের স্মৃতি ফিরিয়ে আনল। মিরপুরে আজ প্রথম ওয়ানডেতে টস শুরুর পর থেকেই বৃষ্টির আনাগোনা শুরু হয়। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ মাঠে গড়ালেও নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের ৪ ওভার পর বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ বন্ধ থাকে প্রায় ঘন্টা দুয়েক। দৈর্ঘ্য কমিয়ে ৪২ ওভারে ম্যাচ মাঠে গড়ালেও ইনিংসের ৩৪তম ওভারে ফের বেরসিক বৃষ্টি আবির্ভাব। দ্বিতীয় দফায় বৃষ্টির পর ম্যাচ আর মাঠে গড়ায় নি। ফলে নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ায় আম্পায়াররা ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন।
এর আগে টসে হেরে আজ ব্যাট হাতে নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের সূচনা করেন ফিন এলেন এবং উইল ইয়ং। মুস্তাফিজ এবং তানজিম হাসান সাকিবের বোলিংয়ের সামনে আজ শুরু থেকেই হাত খুলে খেলতে বাধার মুখে পড়েন দুই কিউই ওপেনার। এদিকে চার ওভার খেলা হতেই ম্যাচে বাগড়া দেয় বৃষ্টি। পরে প্রায় ঘন্টা দুয়েক বন্ধ ছিল খেলা।
বৃষ্টি থামলে বিকাল সাড়ে চারটায় ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমিয়ে আনা হয় ৪২ ওভারে। আর ফের খেলা শুরু হতেই আক্রমণে আসেন মুস্তাফিজ। ষষ্ঠ ওভারে তার করা বল এলেনের ব্যাটের কোনায় লেগে চলে যায় উইকেটের পিছনে। আর ঝাপিয়ে পড়ে দুর্দান্ত এক ক্যাচ ধরেন উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহান। ফলে ২০ বলে ৯ রান করেই সাজঘরে ফিরতে হয় এই কিউই ওপেনারকে।
এলেন সাজঘরে ফেরার পর মাঠে নামেন চ্যাড বোওস। তবে আরেক ওপেনার ইয়ংয়ের সঙ্গে জুটি গড়তে পারেননি তিনি। অষ্টম ওভারের মুস্তাফিজেরই দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয়েছে তাকেও। ৩ বলে ১ রান করে তিনিও ফিরেছেন সোহানের গ্লাভসবন্দী হয়েই।
এদিকে দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর ক্রিজে থাকা ওপেনার ইয়াং এর সঙ্গী হন নিকোলস। দুজনে মিলে দেখে শুনেই খেলতে শুরু করেন। টাইগার বোলারদের সামলে রান বের করে নিতে থাকেন তারা। দুজন মিলে জুটি গড়ে স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৯৭ রান। বাংলাদেশের মাটিতে টাইগারদের বিপক্ষে যেকোনো উইকেট জুটিতে এটিই সর্বোচ্চ রান। এ দুজনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়েই আজ ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে ফিরে আসছিল নিউজিল্যান্ড।
তবে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে আবার ব্রেক থ্রু এনে দেন আগের দুই উইকেট শিকার করা মুস্তাফিজই। ২৮তম ওভারে ফিজের করা বলে লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হয়ে আউট হন নিকোলস। সাজঘরে ফেরার আগে ৩ চারে ৪৪ রান করেছেন তিনি।
এরপর কিউই শিবির আঘাত হানেন নাসুম আহমেদ। তার জোড়া আঘাতে সাজঘরে ফিরেন দীর্ঘ সময় ধরে ক্রিজে থাকা ওপেনার উইল ইয়াং। ৯১ বলে ৫৮ রান করে নাসুমের বলে স্টাম্পিং হয়ে সাজঘরে ফিরেন এই ডানহাতি ব্যাটার। এরপর পঞ্চম উইকেট জুটিতে বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি রাচিন রবীন্দ্রও। সিল্ভার ডাক মেরে নাসুমের বলে লেগ বি ফোরের শিকার হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি।
ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ক্রিজে ছিলেন কোল ম্যাককোঞ্চি ও টম ব্লান্ডেল। তবে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ পণ্ড হয়ে গেলে কিউইদের ইনিংসের ৩৩.৪ ওভার শেষে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়ে যায়।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। দুইটি উইকেট নেন নাসুম আহমেদ। নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন উইল ইয়ং।
সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর।